শরৎ-চেতনা | Sharath-chetana

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সমাজ-চেতনা ৩ সংঘাতে উদ্ভূত মনের আপোড়ন ফুটাইয়া তুলিতে হয়। এই হৃদয়-রহস্যের বলিঠ ও স্পষ্ট প্রকাশ দ্বারা রবীন্দ্রনাথ বাংলা উপন্তাসকে খুবই আগাইয়া দিয়াছেন। বল! বাহুল্য, সামাজিক বিধি-বন্ধন-নিরপেক্ষভাবে মনের দাবী আকিবার ater না থাকিলে এই বিস্তারিত হৃদয়বর্ণন] সম্ভব নয়। সমাজরক্ষার কর্তব্যবোধে অনুপ্রাণিত না হইলে বন্কিমচন্ত্রের বিরাট প্রতিভা এদিক হইতে কাহিনীর গতি-প্রককৃতি অনুযায়ী অপেক্ষাকৃত জটিল মনস্তাত্তিক বিশ্লেষণ ছারা উন্নততর চরিত্র হষ্টি করিতে পারিত, ফলে বাংলা উপস্তাস আরও সমৃদ্ধ হইত | কিন্তু উপল্তাসের ক্ষেত্রে বন্কিমের চেয়ে কম ক্ষমতার অধিকারী হইয়াও রবীন্দ্রনাথ এই হৃদয়রহস্ত উদঘাটনের ব্যাপারে পূর্বস্থরী বন্কিমকে নিঃসন্দেহে অতিক্রম করিয়া গিয়াছেন এবং বাংল: Brace তথা বাংলা সাহিত্যকে বৃহত্তর সম্ভাবনার দিকে ঠেলিয়] দিয়াছেন | শরংচন্দ্র রবীন্ত্রনাথের পথে চলিয়াছেন এবং তাঁহার প্রতিভার স্পর্শে এই পথ প্রশস্ততর হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের চেয়ে উপন্তাপধর্মে শরৎচন্দ্রের আর এক ধাপ অগ্রগতির নির্র্শন হইল, তাঁহার সাধারণ মানুষদ্বের ভিতর হইতে লওয়া চরিত্রগুলি। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের চরিত্র অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাজিত, সংস্কৃতির একটা ছাপ তাহাদের মধ্যে সহজেই লক্ষ্য করা যায়। শরৎচন্দ্রের মধ্যবিত্ত ও সমাজের তলার শ্রেণীর মানুষদের চরিত্রগুলি সমাজের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি চবন্ষিমচন্ত্র অভিজাত শ্রেণীর উপর অধিক ভর করিয়াছেন, রবীন্দ্রনাথ করিয়াছেন মাজিত মানযের উপর, শরৎচন্দ্র কিন্তু চরিত্রন্থষ্টিতে সমাজের নীচের স্তরের সাধারণ মানসিকতা সম্পন্ন সাধারণ মানুষ- ৷ দেরই প্রধানতঃ বাছিয়া লইয়াছেন) যাহা হউক, সংক্ষেপে বলিতে গেলে, 'ভালমন্দ ভাবের দ্বারা চিহ্নিত চরিত্রগুলির মধ্যেও wea থাকিতে পারে, তাহাদের বাহিরের পরিচয় ও অন্তরের পরিচয় এক নাও হইতে পারে, এই মনস্ডাত্বিক বিশ্লেষণে জটিল অথণ্ডিত চরিত্রহুষ্টির যে সম্ভাবনা] বন্কিমচন্দর বাংলাপাহিত্যে একরূপ আবিষ্কার করিলেন, warty কর্ষণে তাহা শুধু সমৃদ্ধ হইল ai, রসিকসমাজে রীতিগত স্বীকৃতি লাভ করিল।' শরৎচন্দ্র wes ata কলাশিল্লের হিসাবে তাহা স্প্রতিষ্ঠিত করিলেন it kam পাওনা] উপস্ঠাসের ২৩তম পরিচ্ছেদে জীবানন্া axes বলিয়াছে, “আশ্চর্য এই পৃথিবী, এবং তার চেয়েও আশ্চর্য এই মাহধের মন।” প্রধানত এই [বিচিত্র মানবমন লইয়াই শরৎচন্দ্র কথালাহিত্য।



Leave a Comment