For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জীবনী .১৩ মানুষ। ... এই দুই বিভিন্ন প্রকৃতি আজনম্মপরিবর্ধিত সখ্যে মিলিয়া মিশিয়া, কোমল
ও কঠোর, বিনয় ও গর্ব, TTS ও Gas কেমন করিয়া নির্বিরোধে ও স্বচ্ছন্দে
একত্র বাস করিতে পারে তাহার উজ্জ্বল ও মনোহর were রাখিয়া গিয়াছে।' রজনীকান্তের মা মনোমোহিনী দেবী ছিলেন সিরাজগঞ্জ মহকুমার বাগ্বাটি
গ্রামের হরিমোহন সেনের কন্যা। তিনি গুণবততী, তেজস্বিনী ও ধর্মপরায়ণা।
সুগৃহিণীরূপে তার খ্যাতি ছিল। ভালো রান্না করতে পারতেন বলে সকলেই তাকে
বলতো 'রান্নার জজ”। মনোমোহিনী দেবী বাংলা লিখতে ও পড়তে জানতেন।
রামায়ণ-মহাভারত, সীতার বনবাস, সতী নাটক প্রভৃতি গ্রন্থ তিনি পড়ে শেষ
করেছিলেন। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রষ্থের তিনি অতিশয় ভক্ত ছিলেন
এবং বাংলা গদ্য ও পদ্যগ্রন্থ নিয়ে বালক রজনীকান্তের সঙ্গে আলোচনা করতেন।
বাল্যকালেই তিনি পুত্র রজনীকান্তের হৃদয়ে বঙ্গসাহিত্যপ্রীতির বীজ রোপণ করে
দিয়েছিলেন। বালক পুত্র যে ছোট ছোট কবিতা বা ছড়া লিখতে শিখেছিলেন তা তার
মায়ের প্রভাবেই সম্ভব হয়েছিল। পিতা-মাতার সাহিত্যল্রীতির অসামান্য প্রভাব ভাবী
জীবনে কাব্য-রচনার মাধ্যমে তিনি দেশ ও জাতির মুখোজ্জ্বল করেছেন। NCSA প্রতি আসক্তি বাল্যকালেই রজনীকান্তের মধ্যে দেখা যায়। গান শুনে
একাগ্রচিত্তে তিনি তার ভাষা ও FA আয়ত্ত করতে চেষ্টা করতেন। এই আসক্তিই ক্রমে
অনুকরণ, অভ্যাস ও অনুশীলনের সাহায্যে বালক রজনীকান্তের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে
তুলেছিল। তাঁর স্মৃতিশক্তি যেমন ছিল প্রখর আবৃত্তির কষ্ঠও ছিল তেমনি অসাধারণ।
পরবর্তীকালে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত রজনীকান্ত কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ-
হাসপাতালে বসে বাল্যকালে তার স্মৃতিশক্তির কথা হেমেন্দ্রনাথ THIS জানিয়েছিলেন ঃ বই একবার পড়লে প্রায় মুখস্থ হতো, আমি তোমাকে একটা পরখ এখনও দিতে পারি। যে-কোনও একটা চারি লাইনের সংস্কৃত শ্লোক (যা আমি জানি
না) তুমি একবার বলবে, আম immediately reproduce করব।
একটুও দেরি হবে না।
বালক রজনীকান্ত তার কোনো-এক আত্মীয়াকে ছড়ায় অনুরোধ
জানিয়েছিলেন
“শ্রীশ্রীশ্রীযুতা! আমার জন্য এন এক জোড়া GS!” রজনীকান্তের জন্ম পারিবারিক সচ্ছলতার মধ্যে কিন্তু তার যখন দশ বছর বয়স তখন
থেকেই এই সুখী ও উন্নতিশীল পরিবারের ভাগ্যবিপর্যয় শুরু হয়। Ta হয় উন্নতির
পথ। জ্যাঠামশাইয়ের ASG উপার্জনকারী উকিল দুই ছেলে বরদাগোবিন্দ ও
কালীকুমারের অকালমৃত্যু, রজনীকান্তের ছোট ভাই জানকীকাত্তের কুকুরের কামড়ে
মৃত্যু, সর্বোপরি তাদের যে সঞ্চিত অর্থ রাজসাহীর ইন্দ্রচাদ Sama কুঠিতে গচ্ছিত
ছিল সে-কুঠি দেউলিয়া ঘোষিত হবার পর পিতার সামান্য কয়েকটি পেনসনের
টাকার উপর সেন-পরিবারের সংসারযাত্রা নির্বাহ হতো। বাল্যকালেই রজনীকান্ত
অসচ্ছলতা ও দারিদ্র্যের মুখ দর্শন করলেন। রাজসাহীতে রজনীকান্তের বিদ্যাশিক্ষা শুরু হয়। পাবনা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা