For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)কবিগুরু /১১ জাতির ভাব ও কর্্মধারা নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়াস করিয়াছিলেন, মানব-
জীবনের সত্য ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা! করিয়াছিলেন, রবীন্দ্রনাথও
আধুনিক যুগে পৃথিবীতে সেই কর্তব্য সম্পাদন করিয়াছেন । তাহার
রচনায় ও জীবনাদরের মধ্যে আধুনিক মানবচিত্ত এমন কিছুর সন্ধান
পাইয়াছে যাহা পরশপাথরের মত মানবপ্রকৃতির একটা মৌলিক
পরিবর্তনই সাধন করিতে পারে। বর্তমান কালের খণ্ডিত ও বন্ধ-
জটিল জীবনে তিনি আনিয়াছেন পূর্ণতার আভাস ও পরিত্রাণের
আশ্বাস । এইজন্যই পৃথিবীর সর্ববদেশেই যীহারা ws মনীষী ও
জ্ঞানী, তাহারা রবীন্দ্রনাথকে আপনার বলিয়া বিবেচনা করিয়াছেন,
তাহাকে গুরুর ন্যায় শ্রদ্ধা করিয়াছেন, তাহার বাণীআবাহন করিয়াছেন।
আধুনিক যুগে খিন্ন নিপীড়িত বিষয়-বিষ-বিকার-জীর্ণ মানন আত্মাকে
যথার্থ মুক্তির বাণী যে রবীন্দ্রনাথই শুনাইয়াছেন, তাহা সর্ববদেশের
সুধীবৃন্দ স্বীকার করিয়াছেন। যে agyfs ও উপলব্ধির ফলে জীবনের
Seat অবসান হয় ও মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ সম্ভব হয়, তাহাই
রবীন্দ্রলাহিত্যের উপজীব্য । এই অনুভব মানুষের প্রাণে আবিভূ'ত'
হইলে সমগ্র মানবসত্তায় চরিতার্থতার aera বাজিয়া৷ উঠে, অমৃত-
লোকের আনন্দে চিত্ত AAS হয়। এই আনন্দ-ই মুক্তির লক্ষণ, এবং
ইহারই বাণী রবীন্দ্রসাহিত্যে ধ্বনিত হইয়াছে । পৃথিবীর ছুর্ভাগ্য যে,
সে বাণী সর্ব্বত্র ও HAM অনুস্থত হয় নাই | রবীন্দ্রনাথকে কেহ কেহ ay বলিয়াছেন এবং এই কথা লইয়া
কিছু কিছু প্রতিকূল সমালোচনাও হইয়াছে ৷ প্রাচীন ভারতীয় মুনি
খষিদের ন্যায় আহার-বিহার, আচার ও জীবনধারা অবশ্য রবীন্দ্রনাথের
ছিল না, কিন্তু এ সমস্ত তর্ক সম্পূর্ণ অবাস্তর। আহার বা আচারের
কোন বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করিলেই' কেহ খষি হইতে পারেন না।