শনিবারের চিঠি | Shanibarer Chithi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মুসাফিরের ডায়েরি > কিন্তু হায় রে, পোড়া দেশের লোকেদের পোড়া! কপাল ৷ সন্দন্‌ হাওয়া চলে, কোন্‌ স্ুভাগাদের দেশে ভেসে যায় সে মেঘ তার সপ্জীবনী Bl ঢালতে! এমনই চলছে কদিন। সেদিন গ্রামে বৈঠক আছে। হাতে চরকা ঝুলিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদ্বয় চলেছে। পশ্চিম কোণে কালো পাহাড়ের ঢেউ দেখা যাচ্ছে, ঘনঘটা দেখে বোঝা ats না ata কি হবে, আজও কি ধরিত্রীর নির্জল| উপবাস ? চষা মাঠের চাক] চাকা মাটির ঢেলাগুলো পাথরের টুকরোর মত নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে, প্রতি পদক্ষেপে আঘাত হানছে। তূষার্ড জমি শুকিয়ে ফেটে গিয়েছে, গোপাটে ঘাসের চিহ্নও নেই । ছুটো গ্রামের মাঝে AW মাঠ। আধাপথ চলার পর ভিজে ঠাণ্ডা বাতাস বইতে লাগল, বোঝা গেল, খুব জোর কদমে চললেও আগে পিছে কোনও গ্রামেরই আশ্রয় মিলবে না, মেত্বের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া অসাধ্য ta দার্শনিক মন নিয়ে তারা এগিয়েই চলল। মেয়েটি সাথীকে বললে যে, বৃষ্টিতে ভিজতে ভালই লাগবে। আরও এক প্রস্তাব করলে। বৃথা মাঠে ছুটোছুটি না করে ওই সামনের দীঘিটার পাশে বসা যাক, তবু যে লোকে বলে--দীড়িয়ে ভেজা, তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। দীঘিটার উত্তর পাড়ে এক He মন্দির, যথেষ্ট পুরোনো, কিন্তু কত পুরোনো তার নিশানা মেলে না, বিগ্রহ কার যেন নিগ্রহে স্থানচ্যুত। পাতলা বাংলা ইটের গীথুনি তিন faatcaa ore তৈরি, চূড়ায় চিরাচরিত পিতলের কলস ও. far) আশে পাশে ধুতরো-বন। দীঘির পাড়ে পাড়ে তাল, নারকেল, খেজুর ও স্নপারির cay) একই জাতীয় গাছ। অনেক মানুষ যেমন বহুকাল নির্বাধভাবে কাটিয়ে শেষ-বয়সে সংসার বাধে, তেমনই এ গাছগুলো যেন সহুষ্টির সকল আকর্ষণ অগ্রাহ ক'রে wa fara নির্বর্ণ কাণ্ড নিয়ে স্পর্ধার সহিত Tug” মাথা wafer, সহসা কেমন গোল বেধে গেল, প্রৌঢ়সীমায় তাদের কামনা ছড়িয়ে পড়ল সবুজ পাতায়। তাদের ফল ফলানোর তাগিদে মাটি থেকে সংগ্রহ করতে হল রস, WE থেকে রঙ। নমনীয় সুপারি গাছগুলো বাতাসে হেলে পড়ে, মাথা নেড়ে ঝড়ের কাছে পরাভবের নতি জানায়। মাঝে মাঝে দু-একটা WAG BAY আমগাছ, Views গায়ে বসস্তের রঙ লেগেছে--তামাটে রঙের রেশমী নরম ঝকঝকে নতুন পাতা মুকুলের ay সৌরভ। কিছু ছুরে একটা মাদারগাছ; কোথাও তারুণ্যের



Leave a Comment