ঝাউ বাংলোর রহস্য | Jhau-banglor Rahasya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
॥ দুই ॥ সেই সবুজ দাড়ি তারপর দারিলিংএ গিয়ে আমরা তো সব ভুলে-টুলে গিয়েছি। আর দারজিলিংএ গেলে কারই-ব| অন্য কথা মনে থাকে বলো! তখন আকাশ জুড়ে কাঞ্চনজঙজ্ঘা ঝলমল্‌ করে, ম্যাল দিয়ে টগবগিয়ে ঘোড়া - ছোটে, জলা পাহাড়ে উঠছি তো উঠছিই ৷ সিঞ্চলের বুনো পথে কত রকম পাখি ডাকছে। কলকাতার গরমে মানুষ যখন আইঢাই করছে আর মনের ছঃখে আইসক্রিম খাচ্ছে তখন গরম কোট গায়ে দিয়েও আমরা শীতে ঠকঠক করে কাপছি | আমরা উঠেছিলুম স্যানিটোরিয়ামে। ছুল্লোড়ের এমন জায়গা কি আর দার্জিলিংএ আছে! পাহাড় ভেঙে ওঠানামা ফরতে এক-আধটু অসুবিধা হয় বটে, কিন্তু দিব্যি জায়গাটি ! তাছাড়া খাশা সাজানো ফুলের বাগান, মস্ত লনে ইচ্ছে করলে ক্রিকেট ফুটবল খেলা যায়, লাইব্রেরির হলে টেবিল-টেনিস আর ক্যারামের বন্দোবস্ত খাই-দাই, খেলি, ঘোড়ার চড়ি, বেড়াই আর ফটো তুলি। এক বটানিক্সেই তো শ-খানেক ছবি তোলা হল । এমনি করে চারপাচ দিন মজাসে কাটাবার পর একদিন ক্যাবলাটাই টিকটিক করে উঠল | -__ছুৎ, ভালো লাগছে না। আরো তিন জন এক সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠলুম। --ভালো লাগছে না মানে? -_ মানে ভালো লাগছে না। টেনিদা চটে বললে-_কলেজে ক্লাশ করতে পারছে না কিনা,তাই ওর মন খারাপ | এখানকার কলেজ তো খোলাই রয়েছে। যা না কালই লজিকের ক্লাশে ঢুকে AG | ক্যাবলা বললে --যাও-যাও | ৬৪



Leave a Comment