অনিকেত | Aniket

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মন্দারের থমকে যাওয়াটা নজরে পড়েছে AISA হেসে বলল, কী দেখছেন? মন্দার তাড়াতাড়ি বলল, রামকৃষ্ণদেবের ছবিটা খুব জ্যান্ত তো! - ওটা একটা রেয়ার ছবি। বরানগরের এক ঠাকুরের ভক্তর কাছে পেয়েছিলাম বলতে বলতে উঠে দাঁড়িয়েছে Ase! ছবির তলায় এসে দু'হাত কপালে ঠেকাল,-_এই মানুষটাকে আমি খুব মানি মশাই। --অনেকেই মানে। আমরাও মানি। -_আমি একটু বেশি করে মানি। উনিই তো আমাদের লাইনের আসলি কথাটা বলে গেছেন। মন্দারের চোখ বিস্ময়ে গোল গোল। — বুঝলেন না? টাকা মাটি, মাটি টাকা। কতকাল আগে কথাটা উনি বুঝেছিলেন বলুন? বাইরে এসে মন্দার আর সুরভি জোর একচোট হাসল। কী কথার কী অর্থ করে নিয়েছে সুব্রত নন্দী! রবিবারের সকাল ছুটির আলস্য মেখে গা এলিয়ে বসে আছে। মোড়ের চা- দোকানে জটলা বেঁধে আড্ডা দিচ্ছে ছেলেরা, পথচারীদের গতি WA! সবে সাড়ে দশটা বাজে, এর মধ্যেই রোদ্দুর যথেষ্ট চড়া। মন্দার আর সুরভি দ্রুত পা চালাচ্ছিল। বাড়িতে সব কাজ পড়ে আছে। হঠাৎ মন্দার বলল,-_এই, স্পটটা একবার দেখে যাবে নাকি? সুরভি অবাক, -__-তুমি চেনো নাকি জায়গাটা? -_অফকোর্স চিনি। চন্দনপুকুর পার্কটার পাশেই তো। -_-সে তো বেশ খানিকটা হাঁটতে হবে। --কত আর! মিনিট পাঁচ-সাত। চলোই না। HONG কাজগুলোর কী হবে? --বললাম তো. সেদ্ধভাত খাব আজকে। চলো, দেখেই যাই। সুরভি আর আপত্তি করল না। এমন একটা শুভ দিনে মন্দারের কথায় আপত্তি করা বুঝি শোভাও পায় না। WIS নন্দীর অফিস থেকে বেরিয়ে খানিক হাঁটলে রিক্সাস্ট্যান্ড, সেখান থেকে একটা সরু রাস্তা ভেতরে ঢুকে গেছে। রাস্তার একেবারে শেষ প্রান্তে ছোট্ট একটা পার্ক। বাচ্চাদের জন্য। এখানেই একসময়ে একখানা ছোট পুকুর ছিল, পুকুর বুজিয়ে অনেকদিন আগেই বেশ কয়েকটা বাড়ি উঠে গেছে। পার্ক আর বাড়িগুলোর মধ্যিখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল মন্দার। আঙুল তুলে দেখাল -_-ওই (যে ওইটা। ওই বাড়িটা। ওটাই ভেঙে... ১৮



Leave a Comment