শনিবারের চিঠি [বর্ষ-১১] | Shanibarer Chithi [Yr. 11]

হইবে, নতুবা তুঁইফোড় হওয়ার একটা অস্থুবিধা আছে। অতএব জোর গলায় ঘোষণা করা চাই যে, পপ্রগতে*ও রসেরই প্রগতি, রস এতদিন বদ্ধ অবস্থায় ছিল, আমরা তাহাকৈ every aspect of life জুড়িয়া- অর্থাৎ নালা-নর্দামা পথ্যস্ত, মুক্তধারায় বহাইয়া দিয়াছি। যাহারা অতীতকালের অপ্রগতিজনিত মধুদুগ্ধ-পিপ[সাকেই রসপিপাসা বলিয়া, মনে করে, তাহারা শৈশব অভিক্রম করিয়| যৌবনে পদার্পণ করে TRI খাইতে শেখে নাই Bors হাজার বৎসরেও মানুষের যে যৌবনলাভ' ঘটে নাই, বিংশ শতাবীর cant ALA হইতেই সেই যৌবন উপস্থিত হইয়াছে; এত যুগ এত জাতি ও এত বিভিন্ন ভঙ্গির কাব্য-সাহিত্যে যে রসের শাশ্বত ভিত্তি টলে নাই, আজ সহসা তাহার আয়ু ফুরাইয়াছে! যদি ফুরাইয়াই থাকে, তবে তাহা লইয়া এত লাফালাফি কেন? পৃথিবী যে ঘুরিতেছে, সৌরমণ্ডলের কেন্ত্রস্থলে স্থির হইয়া নাই, এই প্রগতিতত্ব তো বহুপূর্বের আবিষ্কৃত ও ঘোষিত হইয়াছে। স্থির পরিণাম অপেক্ষা গতিই যে শ্রেষ্ঠতর, রূপের জড়-পরিসমাপ্তি অপেক্ষা ভাবের অনিয়ত চিৎ-প্রেরণাই যে মহত্তর, এইরূপ চিন্তা বা দার্শনিক মতবাদ তো বহুকাল প্রচলিত আছে। তথাপি এইক্ূপ মতবাদ সত্বেও সেই প্রাচীন রসবা॥ কাব্যে ও কলাশিল্পে আপন we রক্ষা করিয়া চিরদিন জড়-নিয়মের উর্দ্ধে আপন অধিকার অক্ষুণ্ন রাখিয়াছে। আধুনিক প্রগতিবাদীর দল এমন কি নৃতন তত্ব আবিষ্কার করিয়াছে, এমন কোন্‌ অজ্ঞাত” সত্যের সন্ধান দিয়াছে, যাহার ফলে মাঙযের আত্মা একেবারে বিপরীত দিকে মুখ ফিরাইতে বাধ্য হইবে? আসল কথা, এই প্রগতি'র ধ্বজাধারীগণ এতদিন এই ভূমণুলেই অন্য নামে পরিচিত ছিলেন; বিদগ্ধ রসিক-সমাজও যেমন সকল দেশে