বাবার কথা | Babar Kotha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রচণ্ড ঝড়ে যেমন আন্দোলিত করে, তেমনি সংসারের শোক্‌সম্ভাপ এসে বাবার মনকে বিচলিত ক'রেছে প্রতিদিনের কর্মতালিকার ওলট-পালট হয়েছে। কিন্তু কয়দিনের মধ্যেই দেখতুম তিনি আবার তার মনরাূপ জাহাজকে লক্ষ্য-পথে ঠিক চালিয়ে নিয়ে চলেছেন। আমাদের জোড়াসাকোর বাড়ীতে, এখন যেখানে রবীন্দ্র-ভারতীর বাড়ী হয়েছে সেখানে ছিল একটা বিরাট তিনতলা বাড়ী । তারই একতলায় একটা! বড় হল ছিল বিলিয়ার্ড খেলবার জন্যে । রবিদাদা প্রস্তাব করলেন সেই হল আর তার পাশের ছোট ছোট ঘরগুলো নিয়ে একটা স্কুল CAA হোক, এবাড়ীর আর ওবাড়ীর ছেলেমেয়েরা সেই স্কুলে পড়বে। যেমনি প্রস্তাব তেমনি কাজ। স্কুল খোলা হ'লো ৷ আমরা আর ওবাড়ীর ছেলেমেয়েরা পড়া শুরু ক'রলুম সেই স্কুলে ৷ সপ্তাহে একদিন ক'রে দোতালার লাইব্রেরী ঘরে সভা বসতো, বালীগঞ্জ থেকে মেজদাদ৷ (সতোযেন্রনাথ ঠাকুর) আসতেন, রবিদাদা, বাবা, জ্যাঠামশাইরা এবং পিসেমশাইরা এই সভায় উপস্থিত থাকতেন | নাটোরের মহারাজা! প্রভৃতি গণ্যমান্ত লোকও মাঝে মাঝে এই সভায় যোগ দিতেন | ছেলেমেয়েদের দিয়ে কবিতা আবৃত্তি করানো হতো, গান করানো VCS এই ASA! যার ভাল হ'তো তাকে পুরস্কার দেওয়া হতো শিশুদের উপযোগী জিনিষ। একবার আমি বাবার কাছ থেকে একটি কবিতা শিখে আবৃত্তি করেছিলুম, পুরস্কারও পেয়েছিলুম ভাল আবৃত্তি করার ary কবিতাটি এখনও মনে আছে, মনমোহন ay মহাশয়ের লেখা-- সদাই ধায় নদীর ঢেউ, রাখিতে তায় পারে না কেউ | রা



Leave a Comment