For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)প্রথম অধ্যায় প্রাককথন
|। ১॥। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার বাংলা হরফে বাংলা গ্রন্থ মুদ্রণের শুরু
এবং এ একই সালে স্থাপিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে সাহেব সিভিলিয়ানদের বাংলা পড়াবার
জন্য বাংলা পাঠ্যপুস্তক রচনার আয়োজন--_যুগপৎ সংঘটিত এই দুই ঘটনা আধুনিক বাংলা
সাহিত্যের উদ্ভবের কারক। এবং গদ্যভাষা নির্মাণের মধ্য দিয়েই বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার
MAAS | বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে খ্রিঃ ১৮০০ থেকে ১৮৫০ পর্যন্ত, অর্থাৎ উনিশ শতকের
প্রথমার্ধ, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের উন্মেষকাল বা প্রস্তুতিকাল, এবং fas ১৮৫০ থেকে ১৯০০,
অর্থাৎ উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ, এই সাহিত্যের বিকাশ বা প্রকাশকাল হিসেবে স্বীকৃত। উম্মেষপর্বে বাংলা গদ্যের নির্মাণকার্যের প্রধানত তিনটি পর্যায় লক্ষ্য করা যায়। প্রথম পর্যায়
পাই শ্রীরামপুর মিশনারী প্রেস থেকে প্রকাশিত বাইবেলের অনুবাদ তথা খ্রিস্টধর্ম, সম্বন্ধীয়
অন্যান্য গদ্যপুস্তক। এরই সঙ্গে নাম করতে হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে ১৮০১ থেকে
১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রকাশিত ১৩টি পাঠাপুস্তক। এগুলি রচনা করেন উইলিয়াম কেরী ও
কেরীর তত্ত্বাবধানে কর্মরত Ce কলেজের অন্যান্য সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতগণ। এগুলির মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল কেরী রচিত “কথোপকথন” (১৮০১) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার রচিত ale
সংহাসন' (১৮০২); ‘Ae (১৮০৮); ও চণ্ডীচরণ yah রচিত 'তোতা ইতিহাস'
(১৮০৫)। দ্বিতীয় পর্যায়ে পাই রামমোহন রায়ের গদ্য। তিনি গদ্যকে ধর্মদর্শন ও সমাজের নানা প্রশ্ন
ও সমস্যামূলক আলোচনার তর্কবিতর্কের বাহন করে তোলেন। তৃতীয় পর্যায়ে বাংলা গদ্য গড়ার কাজে আশ্রয় হয়েছে নানা সংবাদ ও সাময়িক পত্র।
আঠারো শতক থেকে সংবাদপত্রের যে এঁতিহ্য বিলেতে গড়ে উঠেছিল তারই অনুসরণে
শ্রীরামপুর মিশন দ্বারা ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলা সংবাদপত্র বার হয়। এরই দেখাদেখি বা
প্রভাবে মিশনের বাইরে অনেকগুলি সংবাদপত্র এদেশীয়দের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। যাদের
মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রকাশিত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-
৫৯) সম্পাদিত “সংবাদ প্রভাকর'। “সংবাদ প্রভাকর' প্রথমে সাপ্তাহিক হিসেবে ১৮৩১, ২৮শে জানুয়ারি শুরু হয়েছিল। মাঝখানে
প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর পুনঃ প্রকাশিত BT ১৮৩৬, sof আগস্ট প্রথমে সপ্তাহে
তিনবার করে বেরুত, পরে ১৪ জুন, ১৮৩৯ থেকে দৈনিক পত্র রূপে চলতে থাকে। কিন্তু উপরোক্ত তিনটি পর্যায়ের প্রত্যেকটিতেই বাংলা গদ্যের অপরিণত অসম্পূর্ণ রূপ
খুবই প্রকট। বাংলা গদ্যকে তার পরিণত রূপ পেতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্যে ১৮৪০-এর
শেষ্ভাব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে BA! ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে তার রচনা প্রকাশ হতে থাকে।
আচার্য সুকুমার সেন বলেছেন, “বিদ্যাঙগাগরের বিশেষ কৃতিত্ব এই যে তিনি প্রচলিত ফোর্ট-
উইলিয়ামি পাঠ্যপুস্তকের বিভাষা, রামমোহন রায়ের GAG ভাষা এবং সূমসাময়িক সংবাদপত্রের
GASH কোনটিকেই LAGS অবলম্বন না ক্রিয়া তাহা হইতে যথাযোগ্য গ্রহণবর্জন মহিলা--২