For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পালাক্রমে রাইফেল হাতে পাহারা দিলুম। কিন্তু রাতে কোনো ঘটনা ঘটল না। ভোরবেলা কর্মেল একা বেরিয়েছিলেন। ফিরে এসে জানালেন, ব্যাটাচ্ছেলেরা
HMOs কুটিকুটি করে কেটেছে। তবে লুকিয়ে রাখা ক্যামেরায় ছবিগুলো উঠেছে।
কর্নেলের ক্যামেরার কীর্তিকলাপ আমার জানা। Sacre ছবি তুলতে ওস্তাদ। ছবিগুলো প্রিন্ট করে দেখালেন। পিঁপড়ে-মানুষেরা ফাঁদ কীভাবে দাঁত দিয়ে
কাটছে, তার পরিষ্কার ছবি উঠেছে! ব্রেকফাস্ট সেরে আমি, কর্নেল ও ডঃ প্রসাদ বেরিয়ে পড়লুম উত্তরদিকের
জঙ্গলে-_যেখানে কাল সন্ধ্যায় বেলুনের লোকটাকে অদৃশ্য হতে দেখেছি। সেই পাথরের কাছে গিয়ে দিনের আলোয় একটা ব্যাপার দেখতে পেলুম।
পাথরের গায়ে সাদা আঁকিবুকি রয়েছে। পিপড়ে-মানুষদের ছবি আঁকার শখ? নাকি
ওতে কিছু লেখা রয়েছে? তাহলে স্বীকার করতে হয়, ওরা মানুষের মতো লেখাপড়াও
করে। প্রাণীবিজ্ঞানী ডঃ প্রসাদ হেসে উড়িয়ে দিলেন। কর্নেল হাঁটু গেড়ে প্রায় হামাগুড়ি
দিয়ে মাটিতে ও ঘাসে কিছু খুঁজছিলেন। ওই অবস্থায় বাঁ দিকে এগিয়ে আরও একটা
বড় পাথরের কাছে গিয়ে চাপা গলায় বলে উঠলেন, পেয়েছি! পেয়েছি! ডঃ প্রসাদ বললেন, কী পেয়েছেন কর্নেল? কর্নেল কোনো জবাব না দিয়ে পাথরটার ওপর উঠতে শুরু করলেন। তারপর
দেখি, উনি হঠাৎ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ কী দেখার পর ইশারায়
আমাদের ডাকলেন ডঃ প্রসাদ আর আমি পাথরে উঠে ওঁর মতো উপুড় হতেই
এক বিচিত্র দৃশ্য দেখতে পেলুম। পাথরের ওদিকে ঢালু হয়ে মাটিটা নেবে গেছে এবং একটা বিশাল গর্তের মতো
সমতল জায়গায় অসংখ্য প্রকাণ্ড উইটিবির মতো টিবি রয়েছে। ঢটিবির দরজা আছে
এবং জানালায় মতো ফোকরও আছে কয়েক্টা। একখানে ভিড় করে দীড়িয়ে আছে
একদল পিঁপড়ে-মানুষ। মধ্যিখানে একটা বেদিমতো উচু জায়গা। সেখানে দাঁড়িয়ে
আছে একটা লাল পিঁপড়ে-মানুষ। ওর মাথায় ঘাসের মুকুট YRC রঙিন পালক
গৌজা এবং একটা উজ্জ্বল মণির মতো কী জিনিস-_তা থেকে সূর্যের আলো ঠিকরে
পড়ে চোখে ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। তার চেয়েও আশ্চর্য ব্যাপার, বেদীর নীচে ঘাসের মোটা দীড়িতে আষ্টেপৃষ্ঠে বীধা
অবস্থায় পড়ে আছে বেলুনের লোকটা। আমরা দম আটকানো ভঙ্গিতে উপুড় হয়ে শুয়ে ওই আজব দৃশ্য দেখতে থাকলুম।
তারপর কানে এল, পিঁপড়ে-মানুষরা পোকামাকড়ের ডাকের মতো চাপা ক্ষীণ শব্দে
কথাবার্তা বলছে। সে শব্দ এত চাপা যে মনে হচ্ছে, অনেক দূরে কোথাও হাজার
হাজার পোকামাকড় ডাকছে। তারপর যা দেখলুম, আমি লাফিয়ে উঠতে aie আর কী-_ কর্নেল টেনে
ধরে ফের শুইয়ে দিলেন! সামনেকার একটা টিবিঘর বেশ বড়ো-- প্রায় ফুট ছয়েক উঁচু এবং ফুট তিনেক
চওড়া। সেটার রঙ পাটকিলে। সেটা নিশ্চয় রাজার বাড়ি। সেখান থেকে চ্যাংদোলা ১৬