হেমন্তের বর্ণমালা | Hemanter Barnamala

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমি চুপচাপ আছি দেখে বৃদ্ধ আবার বললেন, নিরক্ষরত৷ একটা অভিশাপ ৷ অগত্যা বললাম, আপনি ঠিকই বলেছেন | এ যুগে লেখাপড়া না জানলে পায়ে-পায়ে ঠকতে হবে | চারদিকেই তো ঠক ঘুরে বেড়াচ্ছে । কিন্তু-_ বৃদ্ধ ভুরু Hors জানতে চাইলেন, কিু কী ? একটু হেসে বললাম, লেখাপড়া শিখেও বা কতটুকু সুবিধে হবে-_ধরুন, যাদের জমি বা চাষবাস নেই, কিচ্ছু নেই ? আপনি বলছেন নিরক্ষরতা অভিশাপ | কিন্তু লেখাপড়া শেখাও তো অভিশাপ ৷ যেমন আমি | বৃদ্ধ গম্ভীরভাবে বললেন, কতদূর লেখাপড়া শিখেছেন ? আল্ঞে, বি এ পাশ করেছি বছর তিনেক আগে | আর পড়ার সামর্থ্য ছিল না । &, তারপর ? তারপর আর কী ? এ পর্যন্ত ডজনতিনেক ইন্টারভিউ দিয়েছি | এখনই দিয়ে এলাম | আমি জানি, আমার চাকরি হবে না। কারণ আমার মুরুবির নেই ৷ বৃদ্ধ কিছুক্ষণ চোখ বুজে থাকলেন | দাড়ি খামচে ধরলেন | তারপর চোখ খুলে মুদু হেসে আমার দিকে একটু SCH এলেন । .বাড়ি কোথায় ? নাম কী ? ষড়যন্ত্র সংকুল কণ্ঠস্বর | একটু অস্বস্তি হল | we নাম ঠিকানা বললাম | বৃদ্ধ হাসতে হাসতে বললেন, ইয়ংম্যান | আমি লক্ষ্য করছি, আপনার মধ্যে CHA কৌতূহল নেই | এই নির্লিপুতা অবশ্য আমি ব্যাখ্যা sare পারি । ক্রমাগত ব্যর্থতা মানুষকে ঠিক তাই aa | কাউকে-কাউকে একেবারে সিনিক করে ফ্যালে | কিন্তু সিনিসিজম একটা ব্যাধি । এই যে আমাকে দেখছেন, আমার নাম হংসধ্বজ রায়, আমার ব্যস কত হল বলুন তো ? GE পারবেন না। আমার ব্য়স এই সেপ্টেম্বরে Ales বছব FATA হল | অথচ আমি এখনও rang সমর্থ ৷ হাঁটাচলা, দৈহিক পরিশ্রম--সবেতেই আমি পটু | আমার মনে বিরক্তি আছে, আমি রাগ করতে জানি আবার তক্ষুনি তা দমন করতেও জানি | গান্ধীজীর নন-কোঅপারেশন মুভমেন্টে আমি জেল খেটেছি। সেই শুরু | তারপর স্বাধীনভারতেও বারকতক জেল থেটেছি। কৃষক আন্দোলন করেছি | শেষে বুঝতে পেরেছি, আদর্শের ধোঁয়ার মধ্য ছোটাছুটি করে কোনো লাভ নেই, সবই পগুশ্রম | তারচেয়ে যে মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি, আমার নিজস্ব পারিপার্বে একটা ATG কিছু--একটা...একটা বাস্তব আর প্রতাক্ষ কিছু নিয়ে লড়াই করাই ভাল | অতএব আমি লড়ছি | একা লড়ছি | আমাকে সবাই ঠাটাতামাসা করে । Cet বিরুদ্ধতাতেও পিছু পা নয়--যাদের কিনা স্বার্থে ঘা পড়ার BT আছে: তাদের টনক নড়ে গেছে | তারা বাধা দিচ্ছে | বাধার মধ্যে একপা একপা করে ১৬



Leave a Comment