বাঘভালুকের দেশে | Baghbhaluker Deshe

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দত বাঘ-ভাল্ুকের দেশে রওনা হয়ে পড়ি । বলাই বাহুল্য, সঙ্গে কয়েকটা টিফিন কেরিয়ারে প্রচুর খাবার, পানীয় জল, বন্দুক, টোটা ইত্যাদি সরঞ্জামের কোনই ক্রুটি নেই । আর সঙ্গে ছিল বন্ধুবরের অফিসের গাট্টাগৌট্টা দারোয়ান খড়গ সিং--জাতে নেপালী | তারও শিকারীর বেশ-_ কথায় বেশ চটপটে-_সব কাজেই চৌকস | বেলা আটট! নাগাদ আমরা সেই গ্রামে এসে পৌদছুতেই কয়েকজন গ্রামবাসী আমাদের মোটরকে থিরে দাড়ালো । তাদের মধ্যে একজন মাবঝবয়সী লোকের হাতে একটা টাঙ্গি, কোমরে ভোজালি দেখে তাকেই ডেকে নিলাম। ভাঙা ভাঙা হিন্দীতে তাকে জিঙচ্ঞেস করি--বাঘ কোথাও মারি করেছে fam | উত্তরে সে বললে-__বাঘ একটা গরুর কোমর থেকে খানিকটা মাংস থেয়ে উধাও হয়েছে | বুঝলাম এটা বাথের কীতি নয়-_নিশ্চয়ই বাঘিনী ৷ কারণ বাঘ হলে সে গরুটার মাথার দিকে কিংবা! ঘাঁড়ে আক্রমণ করতো | গ্রামের কথাটা সংক্ষেপেই বলে রাখি । পাহাড়ী গ্রাম, ছোট ছোট কুঁড়েঘরের বস্তি সব। কেবল দূরে মিশনারিদের একটি গির্জা দেখা যায় কাঠের তৈরী । আর একটু পশ্চিমেই গ্রামের একটি FPS মোড়লের বাড়ি । যেমন তেমন লোক নয়- হয়তো হাজার বিশে জমির মালিক-_চাঁয বাস করা, খাজনাপত্রে আদায় ইত্যাদি কাজে সে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে থাকে। তবে ভঙ্গীতে চেহারায় বেশ বোঝা যায়, সে কারও পরোয়া করে না। ধানের মরাই কয়েকটা তার বাড়িতে । হাম, মুরগি, গোটাকয়েক ভেড়া ছাগল, কয়েক জোড়া বলদ, একপাল পাহাড়ী গরু, দু-দুটো গাধা, একটা খচ্চর-_ এই সব নিয়ে বিরাট তাঁর সংসার। একপাশে আছে পিলখানা--গোটা আফ্টেক হাতি পায়ে শিকল বেঁধে মোটা মোটা শালকাঠের খুঁটির সঙ্গে বাধা । প্রত্যেকের সামনেই রাশীকৃত YSTNG (কলাগাছের মত একজাতীয় সরু সরু গাছ-_ হাতির খাদ )। একট! ছোট বাচ্চা হাতিও দেখলাম। ঘন মেঘের মত তার গায়ের রং-_ ছোট্ট BG দুলিয়ে সে যখন কান দুটো নাড়তে লাগলো-_মনে হল, কিছুক্ষণ দাড়িয়ে তাই দেখি | fem সে সময় কই? মোড়লের সঙ্গে কথা বলে গোটা ছুই হাতি চেয়ে নিতে হবে-_-তা ছাড়া আরও অনেক কিছু মাহায্যই সে করতে পারে৷



Leave a Comment