নিহত সম্রাট | Nihata Samrat

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অনেক্ষণ দুজনে গল্প করে। রোহিণী উঠে দাড়িয়ে বলে, ‘val, তোদের বাড়ির উঠোনে যাই ।' “কি ব্যাপার, উঠোনে কেন?' 'দরকার আছে। উঠোনে দাড়িয়ে রোহিণী শার্টের পকেট থেকে ছোট একটা গাছের চারা বের করে সেখানে পুঁতে দিয়ে মাসুদের দিকে ফিরে দাড়ায় | 'তোদের উঠোনে এই বকুল গাছটা লাগিয়ে গেলাম । রোজ জল দিয়ে বড় করে আমার কথা মনে রাখিস | রোহিণী আর দাড়ায় না, দ্রুত চলে যায় সেখান থেকে | মাসুদ অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকে সেখানে | তার চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে উঠেছে। বকুল গাছের কথা ভোলেনি মাসুদ । স্কুলে যাওয়ার আগে সেখানে গিয়ে একবার দাড়াত | আম্মা সকালে উঠেই গাছে পানি দিতেন | আস্তে আস্তে ছোট TABI মাথা তুলে দাড়িয়ে সারা বাড়ির ওপর ডাল-পালা বিছিয়ে দিয়েছে। ঘরে বসে পড়ার সময় জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকত বকুল গাছের দিকে ৷ মনে পড়ত রোহিণীর কথা fe করছে এখন? পড়তে বসেছে বোধহয় বই-খাতা খুলে । বইয়ের দিকে তাকালেই মাসুদের চোখের সামনে ভেসে উঠত রোহিণীর সজল চোখের দৃষ্টি । এখনো কি ও অঙ্কে কাচা আছে? চিঠিতে রোহিণী এসব লিখত না। তার স্কুল জীবনের কত কথাই সে জানাত চিঠিতে ৷ আস্তে আস্তে চিঠি কমে আসতে থাকে । মাসুদ রোহিণীর চিঠিগুলো way গুছিয়ে রাখত | আম্মা হেসে বলতেন, ওগুলো তোর গুপ্তধন নাকি? মাসুদ হাসত কোন কথা না বলে । আম্মা পাশে দাড়িয়ে মাসুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলতেন, 'রোহিণীর কথা খুব মনে পড়ে তাই না?” হ্যা মা। শুধু আমারই বা বলি CHA | তোমারও যে মনে পড়ে তার বড় প্রমাণ প্রত্যেক দিন সকালে উঠেই ওর লাগান গাছে পানি দাও 1’ 'ছেলেটা বড় ভাল ছিল | মাঝে মাঝে ওর কথা মনে হলে বুকের মাঝখানটায় টনটন করে ওঠে 1 দেশ শুধু ভাগই হয়নি, আমাদের মধ্যেকার সম্পর্কটাও ভাগ করে ফেলেছে I মাসুদ আম্মার কথা মন দিয়ে শোনে, কোন কথা বলে না। রোহিণীর কথা মনে হলেই ওর মন বিমর্ষ হয়ে যায় । কোন কিছু করতে ভাল লাগে না। আব্বার আকশ্মিক মৃত্যুতে সংসারের সব কিছু ওলোট-পালোট হয়ে যায়। ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসের ছাত্র মাসুদের আর পড়া হয় না, বাবার স্থলেই চাকরি নেয়। বাবার মত সেও ছাত্রদের অঙ্ক শেখায় | ক্লাসে প্রথম হত বলে সারা স্কুলেই তাব 2O



Leave a Comment