লোককথার লিখিত ঐতিহ্য | Lokokathar Likhito Oitihya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আদিম মানুষ নিজেদের কৌমদের পরিচয় দিয়েছে পশু-পাখির নামে। অর্থাৎ টোটেম বা গোত্র প্রায় সবই পশু-পাখির নামে। এরাই সমাজের আদি পিতা | লুইস হেনরি মর্গান টোটেমের যে তালিকা তৈরি করেন তার অধিকাংশই পশু কিংবা পাখি। শুধুমাত্র আদিবাসী সমাজে নয়, হিন্দুদের গোত্র-ভাবনায়ও এর ইঙ্গিত রয়েছে। কাশ্যপ--১কচ্ছপ, CABG GAS বা ভারুই পাখি প্রভৃতি। উন্নত সমাজে যে রাশির প্রচলন হয়, সেখানেও পশুর আধিপত্য। মেষ বৃশ্চিক সিংহ মীন কর্কট মকর বৃয-_ বারোটির মধ্যে সাতটিই প্রাণী! প্রাথমিক অবস্থায় রোগের তো অস্ত ছিল না। এখানেও নির্ভর করতে হয়েছে পশু-পাখির ওপর | রোগ-নিবারক হিসেবে পশু-পাখির ভূমিকা ছিল MAS | আদিম মানুষ বিশ্বাস করত, কতকগুলো পশু-পাখির রোগ নিরাময়ের অত্যাম্চর্য ও অলৌকিক ক্ষমতা AAA! এই ক্ষেত্রে তারা নির্বাচন করত শিকারি পশুকে, অবশ্য অন্য পশুও একেবারে বাদ যায়নি। ভালুক সিংহ নেকড়ে ঈগল বাদুড় প্রভৃতির রোগ-নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে। আদিম সমাজে পশু ছিল মানুষের পরিচালক ও অভিভাবক | পথ-প্রদর্শক ছিল কুকুর, শিকার খুঁজে দিত কুকুর। পশুর দেহের হাড় feed পশুর প্রতিমূর্তি সঙ্গে থাকলে দুর্গম পথে কোনো বিপদ হবে না বলে তাদের বিশ্বাস ছিল। পশু কখনও জননী, কখনও ধাত্রী। রোমের চিরকুমারী সিলভিয়ার যমজ AS GP ও রোমুলাস-এর কাহিনি লৌকিক এঁতিহ্য থেকেই এসেছে। খষ্যশৃঙ্গ মুনির জন্মদায়িনী একটি হরিণী। এইসব জননী বা ধাত্রী হন স্তন্যপায়ী পশু--_ হরিণ নেকড়ে গোরু ছাগল কিংবা ঘোড়া। দুটি আত্মার ধারণা বহু প্রাচীন | দ্বিতীয় আত্মাটির বাহন হয় সাধারণত পশু কিংবা পাখি। - মানুষ গুহায় যে চিত্রাঙ্কন করল তাও পশুর। “হোয়াইট wnifers’-qa প্রথম নিদর্শন রয়ে গিয়েছে পশুর চিত্রে পশু-পাখির এই যে সার্বিক প্রভাব, কর্মে চিস্তায়-পার্বণে-আচারে এই যে পশু-পাখির প্রাধান্য তাকে কোনে৷ সময়েই কর্মী ও রসজ্ঞ লোকসমাজ অস্বীকার করতে চায়নি। তাই সে যখন গল্প বলতে বসল, স্বাভাবিকভাবেই ২০ F লোককথার লিখিত এঁতিহ্য



Leave a Comment