মনোজ বসুর গল্প সমগ্র (উত্তর পর্ব) | anoj Basur Galpa Samagra (Uttor Parbo)

কে দেবে CH উত্তর ! শিল্পী মনোজ বসন তখন হাসছেন, চোরা চাউনি ঘেরা Rte, বুঝিবা এক-টু বাকা হাসি, মনের চোখের জল ঢাকা পড়বে নয় ত কিসে 1 “ভেজালের উৎপত্তি” গল্পে কটাক্ষ বিদ্রপের সীমান্ত ঘেষে গেছে, তবু শিল্পীর অভ্যস্ত কলাকুশলতার বশে আঘাতের ব্যথা কখনোই প্রায় অনুভবনীয় স্তরে উঠে আসতে পারে না। গল্পের শেষ ছত্র কয়টি সবার আগে মনে ‘AB! চারদিকে সবারই মনে ভেজালের ফলাও ভাবনা-_ কারণ “ভেজালে তড়িঘড়ি ফলপ্রাণপ্তি অতএব যমরাজ ভাবছিলেন। তারও মাথায় সহসা আলাদা এক প্লান Styl দিয়ে Chal বলেন, নরলোকে খাদ্যে ভেজাল দিক- আমরাও এদিকে আত্মার ভেজাল চালিয়ে যেতে পারি। মানয-আত্মার আকাল তো acts "মধ্যে গরু-গাধা নেড়িকুত্তা-প/তিশিয়ালের আত্মা ঢুকিয়ে যাও। সাপ-ছুচো কেযঘ়োবিছেতেই বা দোষ fei বায়ুভূত নিরাকার জিনিস- ভাল রকম ‘Feira করে fre | বুড়া cats পিতামহও ধরতে পারবে না। “সেই জিনিস চলছে। নরসমাজে ইদানীং এত যে জন্ত-জানোয়ার কীঁট- পতঙ্গের ARS, তার গৃঢ় রহস্য এইখানে ।” রবীন্দ্রনাথের ক্লিষ্ট কঠস্বর মনে পড়ে; বিশ্বযুদ্ধলাঞ্ছিত পৃথিবীর চারদিকে তখন “মানুষ-অস্ধর TEs’; মনোজ বস্গুরও সেই অভিন্ন অভিজ্ঞতা যুদ্ধোত্তর স্বাধীন ভারতবর্ষ সম্পর্কে । কিন্তু আন্মিক অপমানজনিত এই আক্ষেপও কত স্তিমিত হয়ে গেল “নরসমাজ' “aia তির্যক দ্যর্থবাহী প্রতীকী প্রয়োগ। MEE বাকা কটাক্ষের আড়ালে অনিবার্ষ দীর্ঘশ্বাসটিকে সংহত করে নিলেন শিল্পী, আগাগোড়া গল্প-জোড়া লঘু হাসির ছদ্মবেশটি অকুঞ্চিত থেকে গেল । আসলে মাছের দেহাধারে জন্ত-জানোয়ার, কীট-পতঙ্গের অবাধ-বিচরণই শিল্পীর সৌন্দর্যপিপাম্থ মনকে উদ্বেজিত করেছিল। তাও কি যে-সে জন্ধ- জানোয়ার !--কীট-পতঙ্গ, গরু-গাধা, নেড়িকুতা-পাতিশেয়াল' “সাপ-ছু চো- CHa’ s আত্মা চলে যাচ্ছে মানের ছদ্মবেশে। তা নাহলে আর আজ, ‘ory নর্দমার জল, চায়ে চামড়ার কুচি, চালে কাকর, ওষুধে ময়দা, ময়দায় তেঁতুল-বীচি--এ সমস্ত বছ-পরীক্ষিত পুরানো রেওয়াজ--কোলের বাচ্চাটা অবধি জানে 1 আর্থনীতিক বর্লবেন, এ-মব কিছুর মূলে রয়েছে উৎপাদনের ঘাটতি- '“জআাকাল' [কিন্ত মানবিক মৃল্য-চেতনায় স্থিত-চিত্ত শিল্পীর তাতে ateat CBT? ARIE 'আকাল' পড়ে গেল যে !--তবু একোনো তিরস্কার (ঠ)