প্রাণ গঙ্গা | Pran Ganga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছোট ডিঙ্গিখানা শিকল দ্বিয়ে গাছের সঙ্গে বাধা আছে। হয়তো রক্ষা হয়ে থাকবে। বিপদে একমাত্র তরসা। we দড়ি বেয়ে নামতে চেষ্টা করে। কুসুম সঙ্গে সঙ্গে আবার হাত চেপে ধরে স্বামীর। বাধা পেয়ে Hime ছমে যায়। এখনো ভীষণ SS) নামতে গেলে হুয়তো ভাসিয়েই নিয়ে যাবে। তাছাড়া রক্ষা a হয়েও থাকে তবু এত জলের ভেতর থেকে কখনো একা একা টেনে তোলা সম্ভবপর নয়। *..দীন্গুর ভাবনা বেড়ে যায়, লক্ষ্মী চরার মাঠ উজাড়। পাঁচশ টাকা খণ মহাজন মধু পালের কাছে। হাতে একটা কানা কড়িও নেই:*- * ভিটে মাটি ছেড়ে যেতে বুকে শেল বেধে দীন্গু করিমের। কিন্তু তবু না গিয়ে উপায় AR সমস্ত ক্ষেতময় পড়েছে কচকচে বালি । মধু. পালের কাছে Gera গিয়েছিল । যদি নতুন করে কিছু কর্জ পায় তা হলে চেষ্টা করে দেখবে আবার বালির ওপর সোনা ফলানো যায় কি না।-..কিন্তু মধু পাল রাজি হয় fri আগের টাকার জন্যই সে নিজের বুক চাপড়িয়েছে, মোড়লের পো, তোমরা তো মরলাই, আমারেও মাইরা গেলা। আবার টেকা fey cetera থনে। দীলু হাত পা জড়িয়ে ধরে। করিম আল্লার কসম থায়। কিন্তু মধুর এক কথা, “আগের টেকা The, পরে কথা কও |” কথা আর নতুন করে বলার উপায় নেই। চোখের জল মুছতে মুছতেই ফিরে আসে ছুই মিতায়। ঘরদোর নেই । বন্যার সময় মাচার ওপর যা ওঠাতে পেরেছিল তাই-ই একমাত্র সম্বল। ঠাকুরের দয়ায় যে উভয়ের ডিঙ্গি ছুথানা রক্ষা পেয়েছে সেই ঢের ভাগ্য | খেজুর পাতার পাটিতে ছৈ দ্বিয়ে ডিঙ্গির ওপরেই আবার নতুন করে ঘর বাধে দু'জনে । ভোর লগ্নে ছেড়ে যাবে কাশীপুর। ছেলে কোলে করে দীড়িয়ে হাপুস নয়নে কাদছিল Siow | মালপত্র বোঝাই শেষ। এখন ছেলেপুলে নিয়ে ফতিমা আর কুসুম ডিঙ্গিতে উঠলেই ছেড়ে যাওয়া যায়। ফতিমার উদ্দেশ্যে করিম তাড়া cea. cot রহিমার মা, বলি পোল৷ কোলে কইরা খাড়ইয়া থাড়ইয়া! খালি কানবা, না নায়ে উঠবা ? তাড়া খেয়েও কোন সাড়া] ছ্বিতে পারে না ফতিমা। বলে কি রহিমের বাপ! ছেলেপুলে নিয়ে wal গাং পাড়ি cacy | ঘরছোর তো সবই গেছে, এবার পেটের ক'টাকেও জলে দ্বিতে চায় নাকি !-*“ডাক ছেড়েই কাদতে ইচ্ছা করে ফতিমার। পেছনের গলুইতে বসে হু'কো টানছিল করিম। ফতিমার কান্না দ্বেখে নিজের বুকের ভেতরটাও আছড়াতে থাকে। জন্মের মতে! ছেড়ে যাচ্ছে ভিটে ১৫



Leave a Comment