For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)যোলো বাংলাদেশের থিয়েটার সংকেত পাঠক নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। বাংলাদেশের থিয়েটার সম্পর্কে অরুণ সেনের অনেক আগে
থেকেই এ বাংলার আশিস গোস্বামী অনুরক্ত, ও বাংলার থিয়েটার নিয়ে অনেক কাজও করেছেন;
সুতরাং তার সম্প্রতি প্রকাশিত “বাংলাদেশের নাট্যচর্চাক্রম ” নিবন্ধটি বাংলাদেশের থিয়েটার সম্পর্কে
আমাদের সঠিক বিচারকে অনেকটাই তিনি উপস্থিত করেছেন আমরা পাঠককে আশ্বাস দিতে পারি।
আর শেষ লেখা সম্পাদকের নিজের দেখা বাংলাদেশের থিয়েটারের সম্পর্কে এক উপলকব্ধিমূলক
বিচার। বিশ্বনাট্যচর্চার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সিকি শতাব্দীর অর্জন কীভাবে তাদের আঞ্চলিকতার
বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত নাট্যনির্মাণ জাতীয় সত্তার মানবিক প্রকাশকে আন্তর্জাতিক জগতের নাট্যনন্দনের ভাষায়
সর্বমানবিক হয়ে নাড়া দিয়ে আমাদের অভিভূত করতে পারে তার প্রতিবেদন এই শেষ লেখা | একটা
জাতি এগিয়ে যায় তখনই যখন সে তার অন্তরকে নিজের ভাষায় ব্যক্ত করতে পারে। বাংলাদেশে তার
মাতৃভাষার সম্মান অর্জনের জন্য যে কাজটা আজ থেকে ৫০ বৎসর আগে শুরু করেছিল, সেই
একুশের প্রেরণা থেকেই আজ সে নাট্যনির্মাণের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে বলেই বিশ্বের নাট্য দরবারে
আজ তার এত আদর। পরিশেষে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি এ গ্রন্থের সংকলিত সক ল লেখকদের তাঁদের লেখা
প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ জানাই সেইসব লেখকদের যাঁরা আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া
দিয়ে এই গ্রন্থের জন্যই লেখা দিয়েছেন তাদের । আজ থেকে প্রায় দুবছর আগে লেখা দিয়েও প্রকাশের
জন্য যাঁরা তাগাদা দেননি, তাদের ধৈর্যের প্রশংসা করি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সদ্য প্রয়াত সেই প্রকাশক সুনীল দত্তের, জাতীয় সাহিত্য পরিষদের হয়ে
যিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন ২০০১ সালের বইমেলায় এ গ্রন্থ প্রকাশের; তার সম্পাদিত নাট্য
আন্দোলনের ৩০ AEA’ গ্রন্থের সাদৃশ্যে এ গ্রন্থের তখন নামকরণ হয়েছিল 'বাংলাদেশের থিয়েটার
আন্দোলনের ৩০ বছর” পরবর্তীতে শ্রী দত্ত শারীরিক ও বৈষয়িক দিক থেকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে
পড়ায় এ বইয়ের প্রকাশনা যখন প্রায় অনিশ্চিত, ঠিক সেই সময় এই ২০০২ -এর বইমেলার
প্রাক্কালে আমাদের পশ্চিমবাংলার বিশিষ্ট ও বরিষ্ঠ প্রকাশক দে'জ পাবলিশিং-এর সুধাংশুশেখর দে
এক কথায় সুনীল দত্তের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব নিয়ে আমাদের এ বাংলা এবং ও বাংলা-_
দুই বাংলার নাট্যআন্দোলনের সকলকর্মীর কৃতজ্ঞতা ভাজন হয়ে উঠেছেন; সেই সুধাংশুশেখরের
উদ্দেশে আমাদের অতিপ্রশংসা বলাইবাহুল্য--কিছু অতিরিক্ত নয়। আমাদের TH 'অনুষ্টুপ” সম্পাদক
অনিল আচার্যের ভাষায় সুধাংশু হলেন আমাদের বইমেলার রাজা বাহাদুর। এই রাজা বাহাদুরকে
আমাদের নাট্যর গণমানুষের শ্রেণিতে নামাতে পেরেছি বলে আমরা গর্বিত। ডিটিপি কম্পোজিংয়ে
ইমেজ-এর অরূপ পাল, দীপক কুণ্ডু ও লেজার গ্রাফিক্সের চন্দন রায়ের বিরক্তিহীন সশ্রম সহযোগিতার
জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন BY | কৃতজ্ঞতা! ও ভালোবাসা জানাই বাংলাদেশের নাট্যনেতৃত্ব আমাদের গ্রন্থের
মুখবন্ধকার শ্রীরামেন্দু মজুমদারকে | বাংলাদেশেব আলোকচিত্র শিল্পী শাকুর মজিদ তার তোলা একগুচ্ছ
ছবি আমাদের ব্যবহার করতে দিয়ে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। গ্রন্থটি নির্মাণে নেপথ্য থেকে
সহযোগিতার জন্য সবিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ais অভিনন্দন জানাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
ভারতস্থ উপরাষ্ট্রদূত জনাব মহম্মদ তৌহিদ হোসেনকে। তার সঙ্গে আমাদের আত্মীয় সম্পর্ক, তার প্রিয়পত্নী, আমার ভগিনী জাহান আরা সিদ্দিকী,
আমাদের সম্পর্কের মধ্যে সেতুবস্ধস্বরূপ। এই সুযোগে জাহান আরাকেও জানাই সবিশেষ কৃতজ্ঞতা। কলকাতা নৃপেন্দ্র সাহা