For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)৮ দেশে বিদেশে পথে প্রবাসে সণৃহিণী বিদেশে এসেছি। দু'হাজার দুই সালে প্রথম বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলাম। এবার
দু-হাজার তিনে দ্বিতীয় বার। সেবার আমেরিকা গিয়েছিলাম। তবে আমেরিকা থেকে ফেরার
পথে স্বল্প সময়ের জন্য লন্ডন বাস করে নিয়েছিলাম। আমার আবাল্য স্বপ্ন ছিল উইলিয়াম
শেক্সপীয়রের জন্মস্থান নামক তীর্থস্থানটি একবার দেখার। দেখেছিলাম। সে-সব কথা আমার
'উলট পুরাণের দেশ-_আমেরিকার BATT লিখেছি। অনেকে তা পড়ে থাকবেন। প্রভাসচন্দ্রের
সেই লন্ডন, স্ট্রাটফোর্ড আপন Goa, Poss গ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় শহর অক্সফোর্ড
দেখার বিবরণ অনেকের ভাল লেগেছে। অনেকে তাদের ভাললাগা আমাকে সাক্ষাতে বলেছেন
অথবা দূর থেকে লিখে জানিয়েছেন। তখন পুরীতে জগন্নাথ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে frat
দর্শনের সেমিনারে জুটেছিলাম। বইটি দিয়েছিলাম গুরুপ্রতীম আচার্য ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী
মশায়কে! পরদিন স্মিতমুখে তর্জনী তুলে তর্জন করে তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'আপনার
ফাইন হবে।” আমি বিনীতভাবে জানতে চাইলাম আমার গৌস্তাকিটি কি। কেন ফাইন | শুনলাম
যে গোস্তাকি আমার বই-_-আমেরিকার কথা। রাত এগারোটায় বইটি হাতে নিয়ে শুয়েছিলেন
তিনি। ঘুম আনার সাহায্যকারী হবে বইটি। কিন্তু বইটি হয়ে গেল ঘুম তাড়ানোর Cae
শেষ রাত চারটেয় বই শেষ হলে তবে তিনি সেটি বন্ধ করতে পারেন। তার নিদ্রা হয়নি।
তাই আমার শাস্তির ব্যবস্থা। আগরতলার শ্রদ্ধেয় মহারাজ কুমার সহদেব বিক্রম কিশোর
দেববর্মন মহাশয় আমার বাড়িতে এসে ধন্যবাদ দিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে আমেরিকা
ও ইংল্যান্ডের এইসব জায়গাগুলি আবার যেন দেখে এলেন। রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের ত্রিপুরার
বড় মহারাজ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজি, মালদহ আশ্রমের স্বামী দিব্যানন্দজি এবং আলঙ
(অরুণাচল)-এর স্বামী সুমেধানন্দর্জি মহারাজগণ বলেছেন বইটি তাদেরও ভাল লেগেছে। সা শুনতে সকলেরই ভাল লাগে। আমারও লেগেছে। সুতরাং দ্বিতীয়বার বিদেশে গিয়েও
লিখতে বসে গেছি ভ্রমণান্দের বিবরণ। অংশভাগী করতে চাই আত্মজনকে এই মহান আনন্দের। মানুষ কবে লিখতে শিখেছিল তার কোন হদিশ পাওয়া যায় না। Re লেখা আবিষ্কারের
ফলে মানুষের জ্ঞানভাণ্ডার জমতে আরম্ভ করে। লেখা সাহিত্যে পরিণত হয়। আমাদের
সবচাইতে প্রিয় লেখা হল “চিঠি*। প্রাণের কথা, প্রেমের কথা, ভাললাগার কথা ভালবাসার
কথা বয়ে আনে ওই চিঠি। শুধু চিঠিতে উপন্যাস লেখা হয়েছে, কাব্য হয়েছে। আমার ছেলেটি
বড় সুন্দর চিঠি ferns কিন্তু টেলিফোন এসে চিঠির যুগের অন্ত করে দিল। চিঠি আর লেখে
না লোকে বেশি। ফোন করে, কথা বলে। আমার বড় কষ্ট হয়। একটা শিল্প AS হয়ে গেল।
ভেবে চিন্তে একটা একটা শব্দ চয়ন করে লেখা চিঠির সাথে ফোনের তুলনা হয়? অবশ্য
আজকাল অনেকেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীজির মতো সময় নিয়ে, ভেবে
চিন্তে চয়ন করে শব্দ ব্যবহার করেন। তবু তা কি আর চিঠির তুল্য হয়? তবে ফোনেরও
ভাল দিক আছে। তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ হয়। স্বর শোনা যায়। প্রসূন মুদিতা তো তাগাদা দিতে লাগল আবার বিদেশ যেতে। আমারও মনে হয় যাওয়া
উচিত। ওদের কাছে গেলে বেলার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। সে অবশ্য ছেলেকে বলে একবার
দেশে আসতে | বলে, “তোমরা একবার আগরতলা আস না? আত্মীয়-স্বজন, তোমাদের বন্ধু-
বান্ধব সকলে তোমাদের কথা জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কবে আসবে জানতে চান, বলেন
কতদিন তোমাদেরকে দেখেন না। GAG তো দেখবার আশা BAT! আস না, কটা দিন