হেমেন্দ্র কুমার রায় রচনাবলী ৩ | Hemendra Kumar Ray Rachanabali 3

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করে। টলমলে জলে দোলে পদ্মফুল, আশেপাশে বাহারী ঝোপ- ঝাপ, ছোট্ট নকল পাহাড়, কোথাও স্বৃদৃশ্য সেতু চলে গিয়েছে এপার থেকে ওপারে । এক জায়গায় পাহাড়ের উপর আছে কৃত্রিম Atl | ফুলস্ত লতাপাতায় সমাচ্ছন্ন এতটুকু একখানি কুঁড়েঘরেরও অভাব নেই । বড় বড় গাছের ঘন পাতার আড়ালে লুকোনো সব খাঁচায় বসে নানান পাখি fae স্থুরের আলাপে চারিদিক করে তুলেছে সঙ্গীতময় । বাগানে এসে ট্াঁড়ালেই বিশ্ময় জাগে, এত অল্প জায়গার ভিতরে এত বৈচিত্র্যের সমাবেশ সম্ভবপর হল কেমন করে ? কুমার বাড়ির সদর-দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল। বৈঠকখানায় কেউ নেই, লাইব্রেরী ও শৃন্ধ। উপরে উঠেও কারুর দেখা পেলে না। একটু আশ্চর্য হয়ে ডাকলে “বিমল, বিমল 1'**'রামহরি !' কারুর ATG নেই । বাঘা ব্যস্তভাবে এ-ঘরে ও-ঘরে ঢুকে ঘেউ-ঘেউ ভাষায় বোধ করি বিমল ও রামহরিকেই ডাকতে লাগল | কুমার ভাবলে, বিমল তাহলে বাগানের দিকে গেছে। সিড়ি দিয়ে আবার নীচে নামবার উপক্রম করছে, এমন সময়ে সবিস্যয়ে দেখলে, রেলি: ধরে কাতরভাবে উপরে উঠছে রামহরি--_তাঁর মাথার চুল, মুখ ও দেহ রক্তমাখা | মুহূর্তকাল TSTSA মত থেকে কুমার ঘললে, 'রামহরি, এ কী ব্যাপার 2 রামহরি ধপ'স্‌ করে Pr foe ধাপের উপরে বসে পড়ে বললে, 'গুণার হাতে পড়েছিলুম বাবু !' --গুপ্ডার হাতে !” রামহরি হাঁপাতে হাপাতে বললে, 'কাল বৈকালে একটা দুশমন চেহারার লোক এসে খোকাব।বুকে ডেকে নিয়ে যায়। অমেক রাত পর্যন্ত থোকাবাবু ফিরল না বলে আমি যখন ভারী ব্যস্ত হয়ে উঠেছি, তখন হঠাৎ সদর-দরজায় কড়া-নাড়া শুনে গিয়ে দেখি, একটা অচেনা ২৬ হেমেন্দ্রকুমার বায় রচনাবলী : ৩



Leave a Comment