For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৪ রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন সাারকে ছোটোবেলায় আমরা শাস্তিনিকেতনের পরিচারকরূপে দেখিয়াছি। লম্বা
একহারা ছিপছিপে চেহারা, গৌফদাড়ি কামানো, চুল পাকা, রঙ কালো,
স্বল্পভাবী লোকটি। সে নাকি লাঠি ও তরবারি খেলায় ওস্তাদ ছিল, আর
রণ পা Bier এক রাত্রিতে নাকি বর্ধমান fatal ডাকাতি করিয়া, ফিরিয়। আসিয়া,
ভোররাত্রিতে নিজের বাড়িতে ভালোমানুষটির মতো ঘুমাইয়! থাকিত। আমি শাস্তিনিকেতনের রীতিমত ইতিহাস লিখিতে বসি নাই, স্মৃতিকথা মাত্র
লিখিব। afer ঝুলিতে হাত prea দিব, কী যে উঠিয়া আসিবে তাহা আমার
নিজের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে না-_ যদি কেহ কৌতুহলী পাঠক থাকেন, তবে
তাহাকে তাহাতেই সন্তুষ্ট থাকিতে হইবে। তবু প্রাচীন শাস্তিনিকেতন-পল্লীর
'আভাস এখানে দিবার চেষ্টা করিব, স্বতিগ্রন্থের পক্ষে হয়তো তাহা অপ্রাসঙ্গিক-_
কিন্তু ত্রিশ বছরেরও বেশি আগে এখানকার কী চেহারা ছিল তাহা কৌতুহল-
জনক মনে হইতে পারে। বিশেষত, দ্রুতবিবর্তলনশীল এই প্রতিষ্ঠানের পূর্বকূপ
একেবারে FATS হইবার মতো হইয়াছে । হঠাৎ fet বছর পরে কেহ এখানে
গেলে পূর্বতন পল্লীকে কিছুতেই আর চিনিতে পারিবে না-- কাজেই এই
উপলক্ষে আগের চেহারাটা এক জায়গায় অঙ্কিত হইয়া থাক্ | শাস্তিনিকেতনের আর্দিম দোতালাটিকে কেন্দ্রে করিয়| ধরিলে ইহার উত্তরে
লাল কাকরের পথের দুই দিকে দুই সারি আমলকী গাছ-- এই আমল্কীবীথি
যেখানে শেষ হইয়াছে সেখানে একটি ফটক, কিন্তু তাহাতে কোনোকালে কপাট
ছিল না। ইহারই পুব fers উপাসনার জন্য একটি মন্দির । শ্বেত পাথরের
মেঝে, টালির ছাদ, লোহার ফ্রেমে নানা রঙের কাচের চৌকা দেয়ালের কাজ
করিতেছে; চারি দিকে টগর কফ্চুড়ার গাছ। মন্দিরের পুবে একটা অর্ধধনিত
পুকুর, বেলে মাটি বলিয়া জল ওঠে নাই, বর্ষাকালে বৃষ্টির জল জমে মাত্র। এই
পুকুর-খোঁড়া মাটি ofa পুব দিকে একটা জ্তুপ-- আমরা! সেটাকে পাহাড়
রলিতাম। এই পাহাড়ের উপরে কালব্রমে বট-আমলকীর গাছ SA জংল]
weal গিয়াছে । বট গাছটার তলায় ছোটোবেলায় শ্বেতপাথরের একটা বেদী
দেখিয়াছি । মহধি নাকি প্রাতঃকালে এখানে বসিয়া স্থধোৌদয় সম্মুখে করিয়া
উপাসনা করিতেন। ছাতিমতলার বেছ্বী ুর্াস্তমুখী । প্রচ্ছন্ন কবি না হইলে
প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে তাল রাখিয়৷ নিজের অধ্যাত্মজীবনকে কে আর গড়িয়া
তুলিতে পারে-_ এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ পিতার যোগ্য পুত্র