For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)উপক্রমণিকা ঞ্চ Po রাখিকাবাবু তখন থাকতেন কাশিমবাজারে। এই সময়ে পাখোয়াজীর
মধ্যে দুর্লভবাবু ও নগেনবাবুর সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠা ছিল। বউবাজারের
Way, বৈকুষ্ঠবাবু ও উলুবেড়ের তারকবাবুরও পাখোয়াজ বাজনার সুখ্যাতি
ছিল যথেষ্ট। ঘরোয়ান| পদ্ধতির feat সঙ্গে সঙ্গে কোনো কোনো প্রদেশে
বিশেষত বাংলায় নবজীবনের “atts হচ্ছিল । সমগ্র ভারতবর্ষে নবজীবনের
স্থচনা হয় রঙ্গমঞ্চে । সব ATS নাটকী-মংগীতকে সংগীতজ্ঞেরা Yt করতেন |
কিন্তু ইতিহাসে কিছুই ঘৃণ্য নয়। উচ্চ-সংগীতে অনভিজ্ঞ নব্য মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়
কিন্তু রঙ্গমঞ্চের প্রতি নিতান্ত ape acy পড়েন । কলকাতার রঙ্গমঞ্চের জন্য
সুর বসাতেন দেবক্ঠবাবু | রঙ্গমঞ্চের জন্য বিলাতী আদর্শে কনসার্ট তৈরি হল,
সেখানে বিখ্যাত ক্লারিওনেট বাজিয়ে হাবু দত্ত, ননী নিয়োগী, অমৃতবাবু ও
চপ্ডীবাবুর গৎ বাজানো হত। দক্ষিণাবাবুর তারের কনসার্টে বিদেশী স্থরপদ্ধতির
আমেজ ছিল। যাত্রায় উচ্চ-সংগীত গাওয়া হত, কিন্তু যাত্রাও রঞঈমঞ্চের
টেকনিক দ্বারাই শীদ্রই অপেরায় পরিণত হুল, অর্থাৎ সেখানেও থিয়েটারি সংগীত
প্রবেশ করলে। এই প্লাবন থেকে ওস্তাদবৃন্দ আত্মরক্ষা! করলেন অভিমানের
আচ্ছাদনে। কিন্তু বাংলায় পলিমাটি পড়ল। তার কারণও ছিল যথেষ্ট। বাংলাদেশে বাংলাভাষায় সংগীতরচন] অনেকদিন থেকেই চলছিল।
যাত্রাগানে, ঢপ, পাঁচালী, Sra ও কবির লড়াইয়ে বাংলা গান গাওয়া হত।
তার 'ওপর ছিল কীর্তন, বাউল, ভাটিয়াল, জারি প্রভৃতি Ge) তাকে
প্রাচীন ভাষায় অর্থসংগীত বলা চলে। এক কথায়, বাংলা গানের প্রাণ ছিল
সাহিত্যের অর্থাৎ ভাবের, তার তান ছিল কথার অর্থাৎ আখরের। তার
ওপর রামগ্রসাদ্ব, নিধুবাবু, প্রভৃতি জনকয়েক রচয়িতার রচনা আধ্যাত্মিক ও
রসের গুণে নিজের স্থান অধিকার করে নেয়। আমাদ্বের বাল্যকালে কয়েকজন
উচ্চশ্রেণী রচয়িতার গানের প্রচার হয়। তার মধ্যে দ্বিজেন্্রলালের হাসির ও
aor গান, রজনীকান্তের আধ্যাত্মিক গানগুলি এবং রবীন্দ্রনাথের নান
প্রকারের গান বিশেষ খ্যাতিলাড করে। ওঁদের মধ্যে দ্বিজেন্রলাল বিদেশী'
WRF ভেঙে একাধিক কণ্ঠের উপযোগী করেন এবং দেশী ও হিন্দুস্বানী রাগিণী
ওলট-পালট করে হাসির গানের উপযুক্ত আকন্মিকতা আনেন। রবীন্দ্রনাথ