For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)attempt to 11000111996 our women, if it tries to take our women away
from that ideal of Sita, is immediately a failure as we see everyday.” এ যুগের মেয়েরা সে যুগের মেয়েদের মতো ধর্মবলে বলবতী হবেন, চরিত্রে SAS
হবেন, গারহস্থ্নীতি পালন করবেন, এবং আজকের দুঃসময়ে বিদেশি প্রভাবিত
বহির্জগতে বিচরণকারী স্বামীদের গৃহে ও পরিবারে ধর্মাচরণে প্রবৃত্ত করবেন। অবশ্য তাদের সর্ববৃহৎ কর্তব্য সম্ভানপালন। মাত্র একটি বাক্যে বিবেকানন্দ বুঝিয়ে
দিলেন, “পশ্চিমের মেয়েরা প্রধানত পত্নী, এদেশের মেয়েরা মূলত মা।”* মাতৃত্ব ভারতীয়
মেয়েদের আসল স্বরূপ। এই স্বরূপ রাজনৈতিক ব্যঞ্জনাযুক্ত হয়ে উঠেছিল
জাতীয়তাবাদের কারণে। বাঙালিরা ক্ষীণবল, ক্ষীণ আয়ু বলেই বারবার মার খায় বিদেশি
আক্রমণকারীদের aos মায়েদের কর্তব্য স্বাস্থ্যবান, শৌর্ষপরায়ণ, দেশপ্রেমিক,
আর্যজনোচিত সুসস্তান গঠন।** বিদেশির বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের জন্য সাহসী, শক্তিশালী
সুপুত্র চাই। বিদেশির বিরুদ্ধে ধর্মরক্ষা ও পরিবার পালনের জন্য সুকন্যা আবশ্যক।
দেশের চাহিদা মেটাবার ভার মায়েদের, অর্থাৎ মেয়েদের। মাতৃত্বের জয়গানে মুখর হয়ে
উঠলেন রাজনৈতিক নেতারা, চিন্তাশীল লেখকরা এবং নামজাদা পত্রিকাসকল-_
OWN, AM CAST নারী-সম্পাদিত পত্রিকাগুলিও-_ভারতী (১৮৮৪),
WEAF (১৮৯৮), ভারতমহিলা (১৯০৫) -_আর্ধধর্ম অনুসরণ, প্রাচীন আদর্শ বহন
এবং PBA সৃজনের জন্য উদ্বুদ্ধ করল পাঠিকাদের।** বামাবোধিনী-তে ক্রমে FH
সোচ্চার হয়ে উঠল সেই সুর। এখানে কয়েকটি কথা বলা দরকার। উনিশ শতকের Bete মহিলাদের গুণাবলী
এবং সামাজিক উচ্চমানের যে বর্ণনা দিয়েছিলেন ইউটিলেটিরায়ন'রা, শাসকখেণী, এবং
এদেশের সংস্কারপন্থীরা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম যুগে, সেটি মোটেই বাস্তবানুগ ছিল
atl ইংরেজ মধ্যবিত্ত মহিলারা যে aye ছিলেন না তা সেকালের মেরী
উইলস্টোনক্র্যাফটের রচনায় এবং একালের STS প্রমুখ গবেষকদের গবেষণায় ধরা
পড়েছে।” তেমনি আর্যনারীদের যে চিত্রকল্প অঙ্কিত হয়েছিল সংস্কারসূচনায় এবং
জাতীয়তাবাদের উন্মেষে সেটিও যথাযথ ছিল কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।” তাছাড়া
এঁদের অনেকেই ছিলেন পৌরাণিক কাহিনীর কল্পিত নারীচরিত্র। রক্তমাংসের মানুষী নন।
আরও বড় কথা এই যে প্রাচীন যুগের যেসব নারীদের দৃষ্টান্ত উল্লিখিত হত, তারা সকলেই
ছিলেন উচ্চবর্ণের আর্ধনারী। তাদের ক্ষুদ্র গণ্ডির বাইরে ছিলেন অগণিত নারী। যে বিশাল
নারী সম্প্রদায় সমাজে ছিলেন অবহেলিত, ছিলেন দরিদ্র, নিম্নবর্ণের, শূদ্রজাতীয়, সেইসব
দাস-নারীদের কথা সেদিন কারুর মনে পড়েনি।” বামাবোধিনী-ও সেকালের বা নিজ
কালের নিম্নবর্গ নারীজীবনালেখ্য স্পর্শ বা প্রতিফলিত করতে পারেনি। চরিত্র বিশ্লেষণে
বামাবোধিনী মধ্যবিত্ত উচ্চবর্ণ ব্রাহ্ম-হিন্দু নারী-পত্রিকা। নারী মহলের আর একটি সুর বামাবোধিনী-তে ধরা পড়েনি। উনিশ শতকের মেয়েরা
নিজ নিজ পরিবারে, বিশেষ করে একান্নবর্তী পরিবারে, একটা মেয়েমহল তৈরি করে
নিয়েছিলেন অস্তঃপুরের অন্দরে। সেখানে তাঁদের নিজস্ব একটা জগৎ ছিল। তাতে হাসি
ছিল, গান ছিল, কৌতুক ছিল, ছিল স্ত্রী-আচার, মেয়েলি খেলা-ধুলো, হাস্য-পরিহাস। সে
মহলের ছিটে-ফোৌটা স্বাদগন্ধ বহিম্হলে পৌঁছত না। কখনও Bore তার অস্তিত্বের মৃদুমন্দ ৬