For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বোলো গোপীনাথের বাড়ি এসে হাজির। ইন্দিরাকে দেখে অভিভূত। মহামায়া বলে জড়িয়ে ধরলেন।
জলধর একেবারে অলৌকিক গল্প লিখতে শুরু করলেন। ভগবানের মহিমাকীর্তনই গল্পের লক্ষ্য।
SHAN HAMID বর্ণনা। বলতে পারি দুর্গামঙ্গল গল্প। শীতল মল্লিক কৃপণ Caw | গ্রামে
লোকেরা তার নাম পর্যন্ত নিত না। বলত ঠাণ্ডা মল্লিক। জলধর এই কৃপণের স্বতাব, কৃপণতা
সম্পর্কে কথকতা করে এগিয়ে গেলেন। এই শীতল মল্লিকের বাড়িতে হঠাৎ পাড়ার ছেলেরা
দুর্গার মূর্তি গোপনে রেখে চলে গেল। সকালে এই কাণ্ড দেখে শীতল BSS 1 পাড়ার লোকেরা
পরামর্শ দিল শীতলকে দেবীর পূজা করতেই হবে, খুব কম করে হলেও একশ' টাকা খরচ। কৃপণ
শীতল রেগে Ser | একশো টাকা খরচ করবার Cures তার ছিল না। ভক্তিও ছিল না। টাকার
বিনিময়ে পুণ্যার্জন সে করতে চায় না। পূজা সে করবেই না। হঠাৎ শীতল ঠিক করল মা যখন এসেছেন তখন পুজা ছাড়াই সে মা-কে আশ্রয় করে কাঙাল
ভোজন করাবে। শীতল কৃপণ কিন্তু শরৎচন্দ্রের একাদশীর বৈরাগীর মতোই, সে ঠকায় না।
নিজের পাওনা DS গণ্ডায় বুঝে নেয়, আবার অন্যের পাওনা কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দেয়।
এহেন শীতল মায়ের উৎসবে কাঙাল ভোজন করাবে। শীতল বিশ্বাস করে কাঙালের দলকে,
কাঙালের গানকে-_ “কাঙাল কয় কাতরে, জাত-বিচারে শক্তিপূজা হয় না; সকল 'বর্ণ' এক হয়ে, ডাক মা বলিয়ে, নইলে মায়ের দয়া কভু হবে AN” —
কাঙাল হরিনাথের শিষ্যদের কাঙালের দল বলা হত। এ গল্পে তারই পরিচয়। শীতল পৃজা
করলে না। কিন্তু পাড়ার ছেলেরা পূজাও করল এ BSS | শীতল মা (দেবী) কে বলেছিল “মা,
তোর কাঙ্গাল ছেলেরা তোর পূজা করবে, সেই পূজোই তোকে নিতে হবে। বল্ মা, পুরুতের
পূজো নিবি-_না কাঙ্গাল ছেলেদেরই পূজো নিবি?” দেবী সম্মতি দিয়ে বললেন কাঙালের পুজো
তিনি নেবেন। পাড়ার ছেলেদের বঞ্চিত করলেন না দেবী। দেবীর আগ্তকাব্য 'সবাই আমার
ছেলে। যে যেভাবে আমার পূজো করে। প্রাণ দিয়ে করলে আমি তাই গ্রহণ করি।” শীতল মা
আনন্দময়ীর চরণে নিজেকে সঁপে দিলেন। এ যেন পরমহংস রামকৃষ্ণের মতবাদকে স্বীকার করে
নেওয়া। কাঙাল হরিনাথের ধর্মেও এই অর্চনাকে মান্য করা হয়েছে। এ গল্পেও ভক্তিরসের
প্লাবন। ভক্তের প্রথমে বিরোধিতা তারপর দেবীকে পূজা করা। বিশ শতকেও এরকম গল্প পড়ার
উৎসাহ এবং আগ্রহ ছিল ভাবতে অবাক লাগে। 'পোষ্টমাষ্টার” গল্পটি সমসাময়িক কালের দলিলরূপে গৃহীত হতে পাবে। GEA বলেছি
মধ্যবিত্তের উনিশ শতক থেকেই যে সমাজসংস্কার এবং পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল তা বিশ
শতকের প্রথমার্ধ জুড়েই ছিল। যদিও সমাজের উপরিতলে সংস্কার-পরিবর্তনের কিছুটা ছোঁয়া
লেগেছিল। পণপ্রথা নিয়ে রবীন্দ্রনাথও গল্প লিখেছেন “দান প্রতিদান'। শরৎচম্দ্রও অরক্ষণীয়ার
কথা বলেছেন। Alene’ উপন্যাসেও পণপ্রথার বলি নারীসমাজের চিত্র আছে। বলাবাহুল্য
বাঙালি মধ্যবিত্তের কথায় ও কাজে অনেকটাই ফাক থেকে যেত। ১৯১৪ সালে CHAS!
মুখোপাধ্যায়ের শোচনীয় মৃত্যু নিয়ে তখন খুবই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল সমাজ মানসে |
CAS মৃত্যুতে সমাজের কুৎসিত দিকটি প্রকাশ পেল। জলধরও প্রগতিশীল আন্দোলনে
যোগ দিলেন এই মানসিকতার বিরুদ্ধে । দলে দলে স্বেচ্ছাসেবী যোগ দিয়েছিল মশ্লেহলতার মৃত্যুকে
উপলক্ষ করে। তারা পণ নিয়ে বিয়ে করবেনা এই আবেদনে সই করল। আন্দোলন এতটা
AWS সমাজ তখনও যেই তিমিরে সেই তিমিরে। রামেন্দ্রসুন্দর এজন্য বলেছিলেন