For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৪ সর্বকালের সেরা ৫০ গল্প বিকাশ রীণাকে সঙ্গ দিতে চায়। হাসি-খুশি রাখতে চায়। রীণাকে হাসানোর চেষ্টা করে। কমলাকে
সাহস দেয়। বিকাশের এই স্বভাবটা ভালো লাগে eva | বিকাশ চায় রীণা ওর সঙ্গে বের হয়। কিন্তু
রীণার তা পছন্দ নয়। কারণ, বিকাশের সঙ্গে বেরুনো মানেই হয় ওর সঙ্গে ক্লাবে যেতে হবে নয়তো
ওর বন্ধুদের সঙ্গে হৈ-চে করতে হবে। রীণার এসব একদম ভালো লাগে A কিন্তু কমলার মনে হয়
বিকাশ যেন অনেক ভরসা আর আনন্দ বয়ে আনে। তাই রীণাকে বলে, ছেলেটা বড় ভালো রে। রীণা জবাব দেয় না। সেদিন এসেছে অর্ক । রীণা শুয়ে শুয়ে তার কথাই ভাবছিল | অর্ককে দেখে
খুশি হয় রীণা। অর্ক বলে, পরীক্ষার আগে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাড়াতাড়ি সেরে ওঠো, রীণা।
আমি তোমার জন্য বেশ কিছু নোটস এনেছি--এগুলো পড়ো। তোমার অনেক সুবিধা হবে। রীণার চোখে জল আসে। সে বলে, আমি কি পরীক্ষা দিতে পারব অর্ক? অর্ক বলে, এত ভেঙে পড়ছ কেন? দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ওসব ভাবনা ছেড়ে পড়াটা
চালিয়ে যাও। তখনই বিকাশ এসে হাজির হয়। অর্ককে দেখে বিকাশ খুশি হয় না। তবু বলে, কী রে অর্ক, কেমন
আছিস? অর্ক বিকাশদের এড়িয়ে চলে। বিকাশের কথার উত্তরে অর্ক বলে, রীণার অসুখের খবর পেয়ে
দেখতে এসেছিলাম। চলি রীণা--ভালো থেকো। অর্ক বের হয়ে যেতে বিকাশ নিজেই রীণাদের কাজের মেয়েকে চা-এর অর্ডার দিয়ে বলে, ওই
ভিজে বেড়ালটা ঠিক এসে পড়েছে এখানে? বোধ হয় তোমায় জ্ঞান দিতে এসেছিল? রীণা জবাব দিল না। বিকাশ বলে, আজ তোমার বাবা আসছেন। গাড়ি এনেছি, চলো এয়ারপোর্টে
যাই। তোমায় দেখলে খুশি হবেন। তৈরি হয়ে নাও। রীণার ঘরে আসতে আসতে বিকাশের কথা কমলার কানে যায়। সে বলে, তাই যা রীণা-_বাড়িতে
তো শুয়ে আছিস। একটু ঘুরে আয়, ভালো লাগবে। এত করে বলছে বিকাশ। রীণা বিকাশের সঙ্গে এয়ারপোর্ট যায় মায়ের ইচ্ছাতেই। সে বোঝে মা চায়, সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে
CPF | আগের মতো হয়ে যাক। অনিমেষ এসে গেছে। এর মধ্যে রীণার সব পরীক্ষার রিপোর্টও এসে যায়। রিপোর্টগুলো নিয়ে
অনিমেষ আর কমলা দুজনেই যায় ডাক্তারবাবুর কাছে। কিন্তু রিপোর্টগুলো দেখতে দেখতে খুবই “Sis
হয়ে ওঠেন ডাক্তারবাবু। বলেন, অসুখটা খুবই জটিল। রীণার মেরুদণ্ডের মধ্যে রোগটা চেপে বসেছে।
ওর বোন-ম্যারো রিপ্লেস করতে হবে। শুধু ওর নিকটতম আত্মীয় মা-বাবা বা ভাই-বোনেরই
বোন-ম্যারো নিয়ে রীণার মেরুদণ্ডে প্রতিস্থাপন করতে ACF | আগে এসব দুরারোগ্য মারণব্যাধি ছিল।
কোনো চিকিৎসাই ছিল at এই রোগে মৃত্যু ছিল অবধারিত । এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির
জন্যে এই অসুখের চিকিৎসা সহজ হয়ে উঠেছে। রোগীরাও বেঁচে যাচ্ছে, সুস্থ হয়ে উঠছে। এসব
কেস এখন আর কঠিন AH | তবে রীণার জন্যে ওর নিকটতম আত্মীয়-- মা-বাবা বা ভাই-বোন কারো
বোনা BS | তাহলেই ওকে সারানো ACT | যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বোন-ম্যার্ন! রিপ্লেস করতে
হবে কিন্তু অনিমেষ ভয় পায়। বলে, আমরা দু-একদিনের মধ্যেই জানাচ্ছি আপনাকে। ডাক্তারবাবুর চেম্বার
থেকে বেরিয়ে আসে ওরা। কেমন যেন দিশাহার অবস্থা ওদের | ভেবে ভেবে কূল পাঁয় না। একে তো
এত বড় জটিল রোগটার খবর জানাতে পারবে না রীণাকে। তার ওপর ... কমলা বলে, এখন কী হবে? ডাক্তারের কথা শুনলে তো? অনিমেষ বলে, এটা তো ওঁর মতামত। ওঁর ভুলও তো হতে পারে। আমার মনে হয় দিল্লিতে
নিয়ে গিয়ে রীণাকে বড় হাসপাতালে দেখাই। ওখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা আছে। সবার আগে
দিল্লির ডাক্তারদের মতামতটা নিতে হবে। কমলা বলে, তাহলে তো ভালোই হবে। তাই চলো নয । ওখানে বিপাশাদি, ভবতোষবাবুদেরও