নকশি কাঁথা | Nakshi Kantha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বয়স সাত দশক পেরিয়্নে চলেছে। আমার একজন অতি MEA বন্ধু কথায়-কথায় একদিন জিজ্ঞেস করে বসলেন ? জীবনের CIES এসে কী মেসেজ রেখে যাবেন আপনার স্বজন-পরিজন, আত্মীয়-অনাত্মীয়দের কাছে ? এ প্রশ্নটা সত্যি ভাবিয়ে তোলার মতো। কোনদিন তো একথা চিন্তা কর্নিনি যে আমারও কিছু বলার থাকতে পারে। শুধু বড় বড় মানুষদেরই তাদের জীবনসন্ধ্যায় কোনো মেসেজ রেখে যাওয়ার অধিকার থাকবে কেন ? এটা কোনো অধিকার বহিভূত ব্যাপার নয়, স্বাধিকার নীতির প্রশ্নও জড়িত নেই। AT Was তার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলার অধিকার রাখে। জীবন থেকে সংসার থেকে সে কী পেল, তার হিসেব-নিকেশ করে সার SUBIR সেও বলে যেতে পারে। তাহলে আমিই বা পারব না কেন £ জীবনপাতের সবারই একটা নিজস্ব দৃষচ্টিতঙী থাকে। তবে হ্যা, আমার কথা যে সর্বজনগ্রাহ্য হবে, এমন Yoo! আমার নেই । আমার মেসেজ আমার জন্যই তোলা থাকবে। পরবতী প্রজন্মের মানুষ শুধু এটুকুই জানুক, আমার জীবন কীভাবে কেটেছে, কতটুকু ভোগ করেছি, কী পেয়েছি আর কী পাইনি। নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষাই বা কতটুকু পর্ণ করতে পেরেছিলাম, তারও নিরূপণের প্রয়োজন আছে বৈকি । আমার ন্যায়-অন্যায়ের বিচারটা আত্মজরাই করবেন! সেখানে মানুষ স্বভাবতই দুর্বল, স্বীয় দোষ কেউ স্বীকার করে না। আমার নিজের বিহব্লতা এবং চিত্ত-বিকার কতখানি কাকে আঘাত দিয়েছে, সেটার পরিমাপ করাও দুরাহ। নিজের দোষ যে স্বীকার করতে পারে, সে তো বড় মাপের মানুষ। একটা কথা এখনও হৃদয় দিয়ে অনুভব করি বে, পুরনো মানবিক ম্ল্যবোধগুলো যদি ঠিকমত বজায় রাখা যায়, তবে জীবনে কিছুটা zat হওয়া যায়। শুধু সামাজিক বিবর্তনের দোহাই দিয়ে, এবং অর্থনৈতিক কারণ দিয়ে, নৃতনত্বের দিকে এগিয়ে চললে POCA সীমা নেই। তাছাড়া মানবিকতার দিক থেকে নবীন মূল্যবোধ গড়ছে কোথায় যে সেটাকে আঁকড়ে থাকব ? যখন হবে, তখন আমার জীবনে সেটা দেখা সম্ভব হবে না। প্রাচীন মূল্যবোধ এখনও অনেক গৌরব বহন করে এবং আমাদের



Leave a Comment