কল্লোলের কাল | Kalloler Kal

কল্লোলের অগ্রদূত : ফোর আর্টস ক্লাব ৫ সভার দিন এক এক বিষয় আলোচনার সিদ্ধান্ত গৃহীত ea | ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সমস্তা দেখা দেয় ঘর নিয়ে । নারী-পুরুষের যৌথ ক্লাবের জন্য ঘর ভাড়| দিতে অনেকেই রাজী হন নি। এই অবস্থায় দীনেশরঞ্জনের বোন নিরুপমা দেবী ও তার স্বামী স্বকুমার দাশগুপ্ত তাঁদের বাড়ির ( ৮৮বি Bea রোডে ) বাইরের ঘরটি স্বল্প ভাড়ার বিনিময়ে ক্লাবের জন্য ছেড়ে দেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আন্ষ্টানিকভাবে ‘see হওয়ার স্থযোগ ঘটে। কিন্তু কিছু- দিনের মধ্যেই ক্লাবের নাম এত ছড়িয়ে যায় যে, তার বড় বড় বৈঠকে অনেক লোকের সমাগম হতে থাকে। তখন ছোট্ট ক্লাব ঘরে স্থান সংকুলান হতো না, আসর বসতো বাইরে গ্রামে কিংবা উন্মুক্ত প্রাস্তরে। আরম্ভে ঘরটিকে নিজের অশিক্ষিতপটু তুলির Sie বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে সাজিয়ে দিলেন দীনেশরঞ্জন, গোকুলচন্দ্র উপহার দিলেন একখানি way ছবি। ঘরের মাঝখানে শোভা পেতে লাগলে ফ্রেমে-বীধানে| ফোর আর্ট ক্লাবের নির্শন-পত্রটি। চতুঙ্কলার অন্যতম কলা সাহিত্য-বিভাগ১১ সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন অনেকেই | মণীক্দ্রলাল বস, কাস্তিচন্দ্র ঘোষ, স্থনীতি দেবী, স্ুধীরকুমার চৌধুরী, গোকুলচন্দর, দীনেশরঞ্জন, fawn দাশগুপ্ত, উমা দাশগুপ্তা১২ প্রভৃতি কয়েকজন ছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রণী । এই সাহিত্য-বিভাগের একটা স্থন্দযর আলেখ্য ফুটে উঠেছে RAS দেবীর কলমে : 'আমাদের সভ্যদের মধ্যে থ্যাত, অথ্যাত, উদীয়মান সব রকম সাহিত্যিকই ছিলেন। একটি মেয়ের কথা মনে আছে, বিদেশে স্বামীকে চিঠি লেখাতেই যার সাহিত্যচর্চা নিবন্ধ ছিল, দে হঠাৎ খুব গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখতে শুরু করে দিল, এবং প্রতি সপ্তাহের সাহিত্য-বাসরে, বিরূপ সমালোচনার ভয় না রেখেই, সে সব পড়ে শোনাতে লাগল | সাহিত্য-জগতে রমলার লেখক হিসেবে পরিচিত মণীন্দ্রলাল ay আমাদের সভায় যোগ দিতেন। তবে এত চুপ করে থাকতেন যে তাঁর গলার স্বর যেন শুনি নি।--*'ঝরণা নামে পত্রিকা বের করতেন সোমনাথ সাহা। ইনিও কাজের তুলনায় কথা কমই বলতেন। প্রবাসীর কবি ATI চোৌধুরীও কটা কথা বলতেন তা আঙ্গুলে গোনা যেত | যদিও :তাঁর অত ACI কারণ ছিল না, কেননা তখনই তাঁর কবি খ্যাতি যথেষ্ট ছড়িয়ে পড়েছিল | চুপচাপের দলে গোকুল নাগও ছিলেন । পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়ও এখানে নিয়মিত আসতেন। সক্লের নাম cred সম্ভব নয়, কিন্তু পাঠক বুঝতে পারছেন নিশ্চয় যে আমাদের উৎসাহী সত্যদের সংখ্যা নিতাস্ত কম