বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
89 MB
মোট পৃষ্ঠা
804
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জানুয়ারী, ১৯৪৮ ] eer উচিত। এ fata বাংলায় গদ্ধ-সাহিত্যের
তিন বিপুল-বিপুল খুটা। এই জন্যও সকলেরই
কুণিশ-যোগ্য । বিজ্ঞান-প্রচারের ঝুঁকি বাঙলার প্রত্যেক
মাসিক পত্রিকাই নিজ ঘাড়ে লইয়াছে। এমন
কোনো বড় বহরের মাসিক Ate থাড়া করে নাই
যাহার ব্যবস্থায় বিজ্ঞঠনের ছিটে-ফোটা বাঙালী
মহলে ছড়ানো Sy নাই। বিজ্ঞানের দরদ উনবিংশ ও
বিংশ শতীৰ্ীর,বাডালীর বাচ্চার জীবনে একটা AS
দরদ রহিয়াছে । একথাটা সর্বদাই মনে রাখা Sta | ype} সালে তের-চৌদ্দ বংসর বয়সে মালদহ
হইতে প্রেসিডেন্সি কলেজে আসিয়া ঢুকিলাম।
বিজ্ঞান-ঘে'] কোনো) নামজাদ। পত্রিকা তখন ছিল
কিনা সন্দেহ । সেুয়ুগে বাংলা পড়ার রেওয়াজ বড়
একটা ছিল ai কিন্তু জানিতাম যে, হোমিও-
প্যাথিক ডোজের বিজ্ঞানশীল পত্রিক| fea খনেক্ক-
গুলা। তখনকার দিনে একজন জবরদস্ত, বাঘা
পণ্ডিত বিশেষরূপে বিজ্ঞান-প্রচারক afaa নামজাদা
ছিলেন । তাঁহার বৈজ্ঞানিক Been দেই অক্ষয়-
রাজেন্দ্র-ভূদেবের চেয়েও বেশী। রামেন্তরস্ুন্দর
ত্রিবেদীর (১৮৬৭-১৯১৯) eat বলিতৈছি। তাহার
সঙ্গে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানসেবীদের কোনো বৈঠক,
সজ্ঘ বা আড্ডা Heal ছিল না। তাহাকে চলিতে হইত একা-একা। কোনো পত্রিকার সঙ্গেও তাঁহার
ata] যোগাযোগ ছিল al 1
সেকালের ছোকরা . মহলে রামেন্দস্তুন্দরের “প্রকতি” (১৮৯৬) বইয়ের নামড়াক ছিল জবর।
বইটার প্রবন্ধগুলা wey সরকারের “নবজীবন”
(১৮৮৪), wat ঠাকুরের “সাধনা” (১৮৯১) আর
ata সমাজপতির “সাহিত!/” (১৮৯৪ ) ইত্যাদি
মাসিকে বাহির হয়াছিল। এই পত্রিকাগুলা
বিজ্ঞান-খথোরদের কাগজ ছিল ay: ছিল “পাঁচ”
ফুলে সাজি” Tarai কিন্তু aterm ছিলেন
সত্যিকার “বিজ্ঞান-খোর”। অক্ষয়-রাজেন্দ্র-ভূদেবে আর aE ACSF জ্ঞান ও বিজ্ঞান ৭ বিস্তর । নেই fata ছিলেন বিজ্ঞান-প্রেমিক মাত্র
তাহাদের পেশা বিজ্ঞান-প্রচারের উপরে বা বাহিরে
যাইতে পারে নাই » বিজ্ঞানের ভিতরেও তাহারা
ঢুকেন নাই। রামেন্ত্র মামুলি বিজ্ঞান-প্রেমিক
আর বিজ্ঞান-প্রচারক মাত্র নন। ' তিনি ছিলেন
বিজ্ঞান-সিদ্ধ লোক, বিজ্ঞান-খোর পণ্ডিত, বিজ্ঞান-
সেবক, বৈজ্ঞানিক । বিজ্ঞান-সেবা ছিল তাহার
আমল ও প্রধান পেশা। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত
“জিজ্ঞাসা” বইয়ের প্রবন্ধগুলায়ও “প্রকৃতি” বইয়ের
বিজ্ঞান-মাধকই হাজিরা দিয়াছেন। দর্শন, সাহিত্য,
শিক্ষা, শিল্প, শব্দ, সমাঁজ, ধর্মাধ্র্ম, ব্যক্তিত্ব, স্থনীতি-
কুনীতি? cay, যজ্ঞ ইত্যাদি ata মাল সম্বন্ধে
রামেন্দ্র মগ ABT (১৯১৯) ere cafes
বঙ্গীয়, সাহিত্য-পরিষদের আবহাওয়ায় তিনি ভাষা ও
সাহিত্যের তাত্তিকরূপে বাঁজার বসাইয়াছিলেন।
কিন্তু অধিকাংশ প্রবন্ধেই প্রাকৃতিক বিজ্ঞান-বিস্তা-
গুলা তাহার প্রধান আলোচ্য ছিল । বিংশ শতাব্বীরু
যুবকবাঙলা প্রধানতঃ বা একমাত্র, aaa
সাহিতাঁকেই হাক্স্লে-সাহিত্য বা রেনাাহিত্য
সমঝিয়। থাকে atta সেকালে বিজ্ঞান-লেখক,
বিজ্ঞান-প্রচারক, বিজ্ঞান-প্রাব্ন্ধিক বলিলে রামেন্দ্র
কেই বুঝিতাম । গদ্-রচনায় রামেন্দ্িক রীতি
আমাদের পছন্দ-সই ছিল। একমাত্র বিজ্ঞান-প্রচারের মতলবে পত্রিকা '
চালানো হালের কথা। ১৯২৪ সালে “প্রকৃতি”
দেখা! দেয় দ্বৈমাসিক রূপে | ala ধরিবার ভার
ছিল পাখী-শাস্ত্রী সত্য লাহার হাতে । একালের
বহু-সংখ্যক বিজ্ঞান-গবেষক আর বিজ্ঞান-প্রচা-
রকের তিনি ব্যক্তিগত বন্ধু। বছর চোদ্দ ছিল
এই পত্তিকার আয়ু। ইহার লেখকেরা প্রায়
স্কুলেই ॥বিজ্ঞান-বিদ্ধার মাষ্টার-জাতীয় লোক।
প্রত্যেকেই অল্পবিস্তর রামেন্ত্র পথের পথি্কি।
রামের সমসাময়িক,--রাবীন্দিক বোলপুরের
জগদানন্দ রায়ও “একালের অনেক যুবা মাষ্টারকে
বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনায় হদিশ জোগাইয়াছেন।