আয়ুর্ব্বেদ [বর্ষ-৩] | Ayurbed [Yr. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৩য় 99, ১ম সংখ্যা | আমাদের দেশে খাদ্য ও পথ্য । ১১৯ বসন উজ গা পপ চাউলকে পুরাতন বলা চলে। রোগীকে পথ্য দিতে হইলে, ৪।৫ বৎসরের পুরাতন চাউল ব্যবহার করা উচিত। পুরাতন চাউল - ৰলকারক, বর্ণ প্রসাদক, ত্রিদোষ নাশক, চক্ষুর পক্ষে হিতকর, মুত্র বৰদ্ধক, স্বরপ্রসাদক, অগ্নিবর্ধক, পুষ্টজনক, এবং পিপাসা, দাহ, বিষদোযষ, ব্রণ, শ্বাস, কা, ও জ্বরাদি নাশক | নূতন চাউল--অত্যন্ত কফবর্ধক এবং HTT 1 নূতন চাউল ভোজনে--গাল ও গলা ফুলিতে পারে, অধিকন্ত উদরাময়, অজীর্ণ, জ্বর প্রভৃতি রোগ ও জন্মিতে atta) স্কূতরাং নূতন চাউল না খাওয়াই ভাল। বার্যাযিতং মর্ববধান্পং গৌরবং পরিমুঞ্চতি | SS, বার্যাষিতং পথ্যং যতো লঘুতরং fees | আজকাল বাজারে দুই রকম চাউল বিক্রয় হইয়া থাকে । ১। কলের ছাটা, ২। ঢে'কীর Cth কলের ছটা চাউল দেখিতে অতি পরিষ্কার--মস্থণ, দানা গুলি Ste, কিন্তু কলে ছাটা চাউল দেহের পক্ষে wig পুষ্টিকর নহে । কেননা -কলে যেক্ূপ প্রক্রিয়ায় চাউল ছটা হইয়৷ থাকে, তাহাতে চাউল্কের ফম্ফরাস-উপাদানযুক্ত স্তর উঠিয়া যায়। অতএব ঢে'কীতে ছাটা চাউল ব্যবহার করাই ভাল। আবার, ছাঁটা চাউল অপেক্ষা আছাটা চাউলের পুষ্টিকারিতা অধিক । ছটা চাউলে সেহজাতীয় উপাদান শতকরা *.৫ ভাগ থাকে, SR চাউলে উহা প্রায় ২-৫ ভাগ থাকে। ছটা চাউলে আমিষ জাতীয় উপাদান শতকরা Ve তাগ, এবং আছ টা চাউলে ৭-৬৮৮ ভাগ ace বিলাতের বড় বড় বৈজ্ঞানিকের আৰরণ উঠিয়া যায়--সেই আবরণে “ভাই- টামিন্‌” নামক পদার্থ দেখিতে পাওয়া যায়। এই ভাইটামিন পুষ্টকর। অতএব-খুব মন্থণ ছাটের চাউল আহার করা উচিত নহে, তবে বিলাসী বাঙ্গালী বাবুরা কি অপরিষ্কার চাউলের অল্প তৃপ্তির সহিত গ্রহণ করিবেন ? চাউল হইতে জাত খাদ্য | পায়স--চাউল, ৫ গুণ at সিদ্ধ করিয়] অল্প ঘন হইলে তাহাকে “frst” বলে Batt বাঙ্গালা নাম--“পরমান্ন” বা “orm? ।-গৃহিণীরা মুখপ্রিয় করিবার জন্য--পাককালে এই পায়সের সঙ্গে চিনী বা গুড় মিশ্রিত করেন । ফলে, ইহাতে “পায়স”* অত্যন্ত গুরুপাক হইয়া থাকে। মিষ্ট না দিলে -_“পায়স”” অপেক্ষাকৃত লঘুপাচ্য হয়। মিষ্ট বর্জিত পায়ম--অত্যন্ত পুষ্টিকর ; যাহাদের শুক্রতারল্য রোগ আছে, তাঁহারা চিনী না দিয়া ty ভক্ষণ করিলে, উপকার পাইবেন। “ক্ষীরিকা TSN Bal মধুরা যাতি Aer । রক্তপিত্ত-হরী রুচ্য। Has শুক্র-বিবদ্ধিনী 0” Ti ক্বতান্ন at) we খবিগণ--পবিত্র ভাবিয়া এই Pes’ বা পরমান্ন ভক্ষণ করিতেন। তখন ইহার নাম ছিল oe” | খিচুড়ী-_চাউলও ডাল একত্র মিশাইয়৷ পাক করিলে যে খাস্য প্রস্তুত হয়, তাহার নাম “gan? চলিত কথায় ইহাকে খিচুড়ী aa, ইহা প্রস্তুত করিবার নিয়ম-_চাল যত, ডালও তত, উভর পদার্থ জল দিয়া সিদ্ধ করিতে হইবে । বেশ afta গেলে, তাহাতে কিছু লবণ, একটু আদার রস এবং অতি মতে _ছটিবার সময় চাউলের যে পাতলা | সামান্ত হিঙ্গুর “সম্বরা” দিয়া নামাইয়া লইবে।



Leave a Comment