বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
12 MB
মোট পৃষ্ঠা
196
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)9 লাল টিনের ছাদ বারান্দায় ভূতের মতো দাঁড়িয়ে-না ঘুমে না জাগরণে-_কোথায় খরখর হলো,
কোথায় ঠকঠক করে কি শব্দ হলো, অমনি দেখতে ছুটলে, এটা পাগলামী ছাড়া
আর কি? একটা অলীক স্বপ্নের জাল বুনে, যা অসম্ভব তাকে সম্ভব করার এই যে
প্রচেষ্টা ও তাতেই Soy cele, এতে গৌরবের কি কিছু আছে? একবার মনে
হলো ও কায়ার দু'হাত ধরে মিনতি করে-_“ঢের হয়েছে বাপু, এবার ww দাও
বোন। আমি না হয় কাল থেকে মার সঙ্গে তার ঘরে শোবো। তোমার প্রাণে যা চায়
কর, যে চুলোয় যেতে চাও যাও, আমি আর এই পাগলামীর মধ্যে নেই।” কায়ার ঘরও তারই মতো আগোছালো ও হাবিজাবি জিনিসে ভর্তি। দুটো খাট,
একটি টেবিল, তার উপর রাজ্যের বইখাতায় ধুলোর পরত, দুই খাটের মাঝে একটি
ছোট তেপায়ার উপর হিজিবিজি জিনিস-_মরা প্রজাপতির পাখনা ক্যাডবেরী
চকোলেটের মোড়ক ও কিছু শেকড়-বাকড় পরম অবহেলায় পড়ে থাকত। সব কিছু
মিশিয়ে একটা উদ্ভট গন্ধ বেরুতো। এগুলি শুধু কায়ারই সম্পত্তি ছিল-_ এখানে
ছুটুর কোনও স্থান ছিল না। সমুদ্রের ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে যেমন সব ভিজিয়ে
একাকার করে ঢেলে দেয় অজস্র ঝিনুক ও নুড়ি, তেমনই কায়ার বাইরের ও
ভিতরের জগতও একাকার হয়ে ছিল-_গাছের লাল শুকনো পাতা, বাশের কঞ্চি,
ন্যাতার টুকরো ... যেমন যেমন বাইরের আবহাওয়া বদলাতো, ঘরেরও জিনিস
তেমন বদলাতো। আগে গিনী কুকুরও মুখে করে রাজ্যের অখাদ্য জিনিস ঘরে এনে
পুরতো-_মৃত পশুর হাড়গোড়, পাখির বাসা, কাঠকুটো! এখন গিনী মরে গেছে,
কিন্তু তার জড়ো করা জিনিসগুলি এখনও কাঠের নীচে যথাবৎ রয়ে গিয়েছে। দুজনে চুপিচুপি অন্ধকারের মধ্যেই ঘরে ফিরে এলো: বাতি জ্বালালেই মা
জেগে যাবেন। ANS ভালোমানুষ মা এত রাতে বাতি জ্বলছে দেখে মুখে কিছু না
বললেও মনে মনে অস্বস্তি ও বিরক্তি বোধ করবেন। কাজে কাজেই আলো স্ববালানো
সমীচীন নয়। ... দুজনে চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়লে । এখন আর কেউ আসবে না -- শুধু নিদ্রাদেবীর আগমনের অপেক্ষা! বাইরে
পাহাড় থেকে বয়ে আসা মৃদু বাতাসে দরজায় খুটখুট করে শব্দ হচ্ছে, যেন কেউ খুব
আস্তে আস্তে দরজার কড়া নাড়ছে--সোজাসুজি ভিতরে ঢুকতে ইতস্তত বোধ
করছে। ... কায়ার মনে একটি পুরানো স্মৃতির কাঁটা খচখচ করে উঠল। অনেককাল
আগে বাবু যখন হুট করে কোন খবর না দিয়েই দিল্লী চলে আসতেন, তখন ঠিক
এভাবেই দরজার কড়া নাড়তেন। হঠাৎ ঘরে ঢুকে পড়তে বোধকরি তিনি সঙন্কোচ
বোধ করতেন। ঘরে ঢুকে আগে তিনি ঘুমন্ত ছুটুর খাটের কাছে গিয়ে তার মাথায়
হাত বুলোতেন। কায়া FAM অপেক্ষা করে থাকত যে কখন তার পালা আসবে।