For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১২ ভারতের শিল্প-বিপ্লব ও রামমোহন চেহারাটা কাছ থেকে দেখে ফেলে বণিক-দেবতাগুলির সম্বন্ধে বীতশ্রদ্ধ হয়ে
পড়ে। শোর সাহেবের আপশোষের শেষ নেই যে শেষ পর্যন্ত ইংরেজ বণিক্দের
আসল রূপ ধরে ফেলেছে এ দেশের লোক। ইংরেজদেরও যে অনেক দোষ
থাকতে ACI ও আছে, তারাও যে নানা প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে এটা
ভারতবাসীরা বুঝে নিয়েছে, এটা কি কম দুঃখের কথা! শোর সাহেবের
মতে এইজন্যেই ভারতীয়দের ভক্তি কমে গেছে ইংরেজের উপর আর তার
ফলে ভারতীয়েরা নিজেদের ইংরেজদের সমান সমান বলে ভাবতে শুরু
করেছে। ইংরেজদের সঙ্গে ভারতীয়দের বেশি মেশামেশি হলেই চটক ভেঙ্গে
যাবে; অল্প মেশামেশির ফলেই এটা ঘটেছে আর বেশি মাখামাথি হলে সর্বনাশ
হয়ে যাবে । এই হচ্ছে শোরের ভয় ও ভাবনা। তাই তার মতে ইংরেজ-
দের বেশি সংখ্যায় এ দেশে আসতে দিলে মারাত্নক ভুল করা হবে।
এখানেও মতলবটি সুস্পষ্ট । ইংরেজদের যাতে এ দেশের লোক ভয় করে,
সম্ভম করে, দেবতা গোছের কিছু-একটা ভাবে সেটার দিকে নজর দেওয়া
দরকার। এটা একটা চতুর ও খুব প্রয়োজনীয় কৌশল TD দেশকে দখল
করে সে HOA লোকদের গোলাম বানাবার ও লোটবার |
এবারে ইয়োরোপীয়দের এ দেশে এসে বাণিজ্য করতে দেওয়া ও চাষবাস
করতে দেওয়া সম্বন্ধে তখনকার গভর্নর-জেনারল্-এর Wo) একবার দেখা
যাক। ১৭৮৮ খৃষ্টাব্দের পয়লা নভেম্বর গভর্নর-জেনারল্ ইস্ট ইণ্ডিয়া কম্পানীর
কোর্ট অফ, ডিরেকূটরদের লিখছেন :
যদি প্রস্তাবিত পদ্ধতি (অবাধ বাণিজ্য ) গ্রহণ করা হয়, তাহলে অসংখ্য
ইয়োরোপীয় দেশের অভ্যস্তরে গিয়ে জড়ো হবে। '“কম্পানী-পরিত্যক্ত
শিল্পের কেন্দ্রগুলো স্বতাবতই তারা দখল ক্রে বসবে ।” তখন উগ্র প্রতি-
দ্বন্বিতার এবং মূল্যবৃদ্ধির উদ্ভব হবে এবং খেলো কাপড় বাজার ছেয়ে
যাবে। াতিরা সবার কাছ থেকেই অগ্রিম টাকা নেবে, প্রত্যেকে নিজেকে
ক্ষতি থেকে বাচাবার চেষ্টা নিজেই করবে। বণিক্দের মধ্যে এবং বণিক ও
উৎপাদনকারীদের মধ্যে বিবাদ হবে অনিবার্যষ। খুব সম্ভবত দেশ SAF
বিশৃঙ্খলায় ভরে উঠবে। এ উপায়ে স্বাধীনতা ও বাণিজ্ঞ্যের প্রসার কতদূর
Rw পারে তা নির্ধারণ করা দুংসাধ্য নয়! (কোটেশন-_লেখক ) |
ইয়োরোপীয়ের| বেশি সংখ্যায় এ দেশে এলে ইস্ট ইণডয়া কম্পানী ষে