যুগনায়ক বিবেকানন্দ [খন্ড-২] [সংস্করণ-১] | Yuganayak Vivekananda [Vol. 2] [Ed. 1]

আমেরিকার প্রথম দিনগুলি , ৭ অবগত হইবার জন্য আমরা পুনর্বার তাহার ২০শে আগস্টের পত্রধানি পাঠ করিব । তিনি লিখিয়াছেন £ “জানিয়৷ are, এই দেশ খৃষ্টানের দেশ। এখানে আর কোন ধর্ম ও মতের প্রতিষ্টা কিছুমাত্র নাই বলিলেই হয়। আমি জগতে কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার ভয় করি না; আমি এখানে মেরীতনয়ের সম্ভানগণের মধ্যে বাস করিতেছি , প্রভু ঈশাই আমাকে সাহায্য করিবেন। একটি জিনিস দেখিতে পাইতেছি, ইহার| আমার হিনম্দুধর্মস্বদ্ধীয় উদার মত ও নাজারাথের অবতারের প্রতি ভালবাস! দেখিয়া খুব আকৃষ্ট হইতেছেন 1. আমি তাহাদিগকে বলিয়] থাকি যে, আমি সেই গ্যালিলীয় মহাপুরুষের বিরুদ্ধে কিছুমাত্র বলি না. কেবল তাহার] যেমন যীপ্তকে মানেন, সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাপুরুষগণকেও মান উচিত। একথা ইহার] আদরপুর্বক গ্রহণ করিতেছেন। এখন আমার কাধ এইটুকু হইয়াছে যে, লোকে আমার সম্বন্ধে কতকট৷ জানিতে পারিয়াছে ও বলাবলি করিতেছে । এখানে এইক্ূপেই কাধ আরম্ভ করিতে হইবে | “কাল নারী কারাগারের অধ্যক্ষ! মিসেস জন্সন মহোদয়] এখানে আসিয়া- ছিলেন; এখানে কারাগার বলে না, বলে সংশোধনাগার । আমেরিকায় যাহ যাহা দেখিলাম, তাহার মধ্যে Szi এক অতি অদ্ভুত জিনিস। কারাবাসিগণের সহিত কেমন সহ্্‌দয় ব্যবহার করা হয়, কেমন তাহাদের চরিত্র সংশোধিত হয়, আবার তাহারা ফিরিয়। গিয়া সমাজের আবশ্যকীয় অঙ্গরূপে পরিণত হয়। কি অদ্ভুত, কি সুন্দর !...ইহ| দেখিয়৷ তারপর যখন দেশের কথা ভাবিলাম, তখন আমার প্রাণ অস্থির seq উঠিল। ভারতবর্ষে আমরা গরীবদের, সামান্য লোকদের, পতিতদের কি offen থাকি! তাহাদের কোন উপায় নাই, পালাইবার কোন AWB নাই, উঠিবার কোন উপায় নাই। ভারতের দরিদ্র, ভারতের পতিত, ভারতের পাপিগণের সাহায্যকারী কোন বন্ধু নাই । সে ষতই চেষ্টা করুক, তাহার উঠিবার উপায় নাই। তাহারা দিন দিন ডুবিয়া যাইতেছে; রাক্ষমবৎ নৃশংস সমাজ তাহাদের উপর ক্রমাগত যে আঘাত করিতেছে, তাহার বেদনা তাহারা বিলক্ষণ অনুভব করিতেছে, কিন্তু তাহারা জানে না-_কোথা হইতে এ আঘাত আসিতেছে। তাহারাও যে মানুষ, ইহা তাহারা ভুলিয়া গিয়াছে । ইহার ফল দাসত্ব ও teu) চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ কিছুদিন হইতে সমাজের এই দুরবস্থা! বুঝিয়াছেন, কিন্তু দুর্তাগ্যক্রমে তাহারা হিন্দুধর্মের ঘাড়ে এই দোষ চাপাইয়াছেন। তাহারা মনে করেন, জগতের মধ্যে .এই মহত ধর্মের