আকাশ-ভরা সূর্য-তারা | Akash-bhara Surja-tara

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমার বেশ একটু আশ্চর্য লাগত । নিজের মনে মনেই প্রশ্ন করতাম, কিন্তু কোন উত্তর খুঁজে পেতাম না। দীর্ঘদিন পরে স্বয়ং নির্মলদার কাছ থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছিলাম | বেলগ্রেডে যখন নির্মলদার সঙ্গে দেখা হলো, তখন উনি লগ্নে পোস্টেড। তাই লগুন যাবার পথে আমি নির্মলদার সহযাত্রী হলাম | পথে ক'”দিনের জন্য ছুজনেই বালিন গেলাম। কেশ্পিনিস্ষি হোটেলে ছজনে একই ঘরে ছিলাম ৷ দীর্থদিনের পরিচয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ছুজনের একত্রে বালিন বাস এক বিচিত্র গাটছড়৷ বেঁধে দিল আমাদের মধ্যে । ছটি মানুষের মধ্যে পরমাত্মীয়ের সম্পর্ক গড়বার SD সতেরো দিন মোটেই AG সময় নয়, কিন্তু অত্যন্ত নিবিড় করে মেশবার জন্য আমার আর নির্মলদার মধ্যে এক প্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল । তাই তো বালিন ত্যাগের আগের দিন নির্মলদা৷ হঠাৎ আমাকে বললেন, “বাচ্চু, তুই তোর লগুনের হোটেল রিজার্ভেশন ক্যানসেল করে একটা টেলিগ্রাম করে দে ।” একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, “কেন নির্মলদা 7” “কেন আবার ? তুই আমার কাছেই থাকবি ৷” হোটেলের রিসেপশন কাউন্টারে টেলিগ্রামটা দেবার সময় নির্মলদাও একটা টেলিগ্রাম পাঠালেন । কাকে, কোথায়, fees পাঠালেন, তা বুঝতে পারলাম না। Brees aca লগুন পৌঁছবার পর জেনেছিলাম এ টেলিগ্রামটা নির্মলাবৌদিকে পাঠিয়েছিলেন | — লগুন এয়ারপোর্ট কাস্টমস থেকে' বেরিয়ে আসতেই একজন Wa afi ধীর পদক্ষেপে আমাদের দিকে এগিয়ে এসে নির্মলদার হাত থেকে টাইপ-রাইটার আর কেবিন-ব্যাগটা নিয়ে facta) তারপর কপালে চিন্তার রেখা ফুটিয়ে, টানা চোখ ছুটোকে একটু কুঁচকে নির্মলদার দিকে তাকিয়ে বললেন, “আচ্ছা, তুমি কি কোনদিন আমাকে শাস্তি দেবে না ? সামনের face এগোতে এগোতে একটু হেসে অবাক হয়ে নির্মলদা পাণ্টা প্রশ্ন করলেন, “কেন বল্‌ তে ? ১৬



Leave a Comment