For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পাপাচরণের ace গীতার চিরস্তন লোকের এরূপ অস্ধযোগ পরবর্তী কোনো '
নিকট কবির সাধিত না হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে, অর্জুনের দৃষ্টই ধার্মিক
প্রলেপের চেয়ে সত্য, প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুর দৃষ্টিতত্ব তখনকার সামাজিক,
অসামর্থ্ে আচ্ছন্ন। অর্থাৎ শিল্পীর কাছে, যাকে বলা হয় ধার্মিক ব্যাখ্যা, তারই
পরাজয় | বলা বাহুল্য সমস্ত গীতার মূলদর্শন শঠতার RISA কুরু-পাওবীয় আচরণকে
সমূহ প্রত্যাখ্যান করে। “সমদরিতা”-ই এশীদৃষ্টির অর্থে সেখানে ব্যাখ্যাত।
সেই দৃষ্টি পাপকে অগ্রাহ্ করে না,কিন্তু পাপের বিরুদ্ধে আচরণেও cS ধর্মকেই
একমাত্র রক্ষণীয় ব'লে জানে | কেননা দৃষ্টিমানের পক্ষে জয়পরাজরের লৌকিক
বিচার নেই । বাজসমনেয় সংহিতায় যে “সমীক্ষা”-র কথা বলা হয়েছে তারই
আবির্তাব দেখেছি অর্জুনের চোখে : মিত্রস্যাহং wal সর্বাণি ভূতানি সমীক্ষে ।
মিত্রস্ত চক্ষুষা সমীক্ষামহে ॥ মহাভারতের যুদ্ধকে অতিক্রম ক'রে ধ্বনিত হয়েছে এ কাব্যেরই অস্তমিহিত
মহাবাণী : জীবিতুং যঃ স্বয়ং চেচ্ছেৎ BA সোইন্যং প্রঘাতয়েং।
যদ্ যদাত্মনি চেচ্ছেত তৎ পরস্তাপি চিন্তয়েং ॥ “ca নিজে বেঁচে থাকতে চায় সে কেমন ক'রে অন্যকে আঘাত বা হত্যা
ক্রে ? নিজের জন্যে যা ইচ্ছা কর অন্তর জন্যেও তা-ই ইচ্ছা কোরো ।” ছুখের
বিষয় সমাজে মানবধর্মের পতম ঘটে, এবং সেই ভ্রষ্টতারও যথাযথ রূপ দেওয়ার
দায়িত্ব কবির । তা ছাড়া আদি রচনার মঙ্গে যুক্ত অন্যান্য প্রক্ষিপ্ত অংশের উগ্র
সমর্থকেরও অভাব নেই। তৎসত্বেও অর্জুনের চোখে দেখা শিল্পীর আদর্শ রয়েই
গেল। সেই দৃষ্টির পরিণতি দেখি উত্তরকালের নানা দেশীয় কাব্যে শিল্পে
কারুচিত্রে | য়ুরোপীয় সাহিত্যে বোধহয় সেকম্পীয়রের কোরায়লনাম্ নাটকে এই যুগ্ম-
দৃষ্টির পরিচয় সবচেয়ে আশ্চর্য উদ্ভাসিত হয়েছে। হননকারী বীর যখন ছদ্মবেশে
বিধ্বস্ত শত্রু-শহরে প্রবেশ করেছেন তখন রক্তচক্ষুর দৃষ্টি অতিক্রম ক'রে মান্ষের
দৃষ্টি তার চোখে ভর করল: ৬