For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)২ অপরাজিতা রাধারাণী সাহিত্য জগতে নিজ নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তারা প্রায় সকলেই সমাজের
একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ এবং তারাও নিজেদের নির্দিষ্ট শিক্ষা ও গন্ডীর মধ্যে
পুরুষশাসিত প্রাতিষ্ঠানিক জীবন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত | প্রসঙ্গতঃ কবি আনন্দ বাগচীর এই বক্তব্যটি
প্রণিধানযোগ্য : রাধারাণীর FH ১৯০৩ হ্রিস্টাব্দে কুচবিহারে | সহজাত কবি প্রতিভার অধিকারে
যে সময় তিনি সারস্বতচতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন তখন বাংলার রক্ষণশীল
সমাজে, মধ্যবিত্ত TANT অবগুষ্ঠন Hla (RT | সে যুগে গল্প-উপন্যাসের
নায়িকা ছিল কল্পনায় MT করা, প্রেমের ঘটনাবহুল উপাখ্যান CAAT |
পথে-ঘাটে ঘোমটা-বসা নারীর দেখা পাওয়া সহজ ছিল at) অবশ্য পশ্চিমী
শিক্ষা সংস্কৃতির হাওয়া লেগেছিল যে বিশেষ সমাজে, যে উচুতলার ধনী পরিবারে
তাদের কথা আলাদা | সামাজিক, পারিবারিক এই পটভূমিতে রাধারাণী অশেষ
ভাগ্যবতী এই জন্যে যে তিনি পেয়েছিলেন ঘরে বাইরে অকৃপণ BRAC,
পুরুষের YAS বন্ধুত্ব আর শিক্ষার অবাধ সুযোগ! এবং সেই সঙ্গে আজীবন
সাহিত্যের আবহাওয়া ও সচ্ছলতা! এত ATG ও অনেক NA তাকে নিজের
হাতে ঠেলে সরাতে হয়েছে । এগোতে হয়েছে অদম্য ইচ্ছাশক্তির বলে P মূলতঃ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের শোক ও হতাশা থেকেই তাদের সাহিত্য সাধনা
শুরু হয়। স্বর্ণকুমারী দেবী, প্রিয়ম্বদা দেবী, কামিনী রায়, গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী, অনুরূপা
দেবীরা সে যুগের উল্লেখযোগ্য লেখিকা হলেও তাদের সাহিত্যসাধনাকে অতীত ইতিহাসের
স্মৃতিচারণা ও ব্যক্তিগত জীবনের সীমিত অভিজ্ঞতার মধ্যেই আবদ্ধ রেখেছেন। কেননা
সে যুগের রীতি অনুযায়ী তাদের সাহিত্যচর্চা নারী জীবনের সাধারণ আশা-আকাঙক্ষা,
দুঃখ-বেদনার ও ঘর-গৃহস্থালীর দ্বারাই AAAS | সে সময়ে র সমাজ-অনুশাসনের বাইরে
কোন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নেওয়া বা চিন্তা করা স্বাভাবিক ভাবেই তাদের স্বভাব-বিরুদ্ধ
ছিল। আধুনিক নারীর জীবন-সংগ্রাম, জটিলতা, সমস্যা, আশা-আকাঙক্ষা, ব্যর্থতা-বেদনার
ও তদুপরি সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়ের বৃহত্তর ক্ষেত্রে তাদের বিচরণ করতে
হয়নি। তাই তাদের সাহিত্য-সাধনা নারীর সুকোমল হৃদয়বৃত্তি ও ভাবাবেগ দ্বারা পরিচালিত
একথা একেবারে অস্বীকার করা যায় না। একথা ঠিক যে কালের বিবর্তনে নারী আজ
শুধু গৃহধর্মেই আবদ্ধ নয়, আধুনিক শিক্ষা ও চেতনার হাত ধরে সে পুরুষের মতো পুরুষের
সঙ্গেই GLANS ও কর্মজগতে প্রবেশ করেছে৷ জীবন ও কর্মক্ষেত্রে সে পুরুষের মুখাপেক্ষী
না হয়ে নিজের স্বাধিকার অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছে। কিন্তু কোন কোন সামাজিক ও
পারিবারিক সমস্যা ও জটিলতার ক্ষেত্রে নারী আজও লড়াই করে চলেছে সম্পূর্ণ
এককভাবেই | এই লড়াইয়ে কেউ তার শরিক নয়, এমন কি তার নিজের পরিবারের নারী-পুরুষেরাও নয়।