বাংলার ছোটগল্প [খণ্ড-৭] | Banglar Chhoto Galpa [Vol. 7]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতো আর সে খাতকদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করে। কিন্তু বাদশাহ্রা শাস্তি দিতে পারতো, মকুব করতেও পারতো। সে কোনটাই পারে না। কিন্তু তার মধ্যে এক এক সময় বাদশাইী মেজাজ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে । ভাবে, যে খাতক ইচ্ছে করে কিস্তি ফাঁকি দিচ্ছে তাকে কিছুতেই ছাড়বে না আর যে সত্যি অপারগ তার হয়ে মালিকের কাছে দরবার করবে | কিন্তু সুলেমান জানে সে বড় অসহায়। জো কিসীকে কাম নহ্‌ OH ACH, ম্য ওহ এক/মুশতে GAA S| যে কারও কোনো কাজে আসতে পারে না, আমি সেই তা ৷নহ তো মাঁ কিসীকা হবীর হু/নহ তো sha কিসীকা রকীব ুঁ/জো বিগড় গয়া ওহ নসীব হু, জো উজড় গয়া/ওহ দয়ার SI আমি কারও বন্ধু নই, কারও প্রতিদ্বন্দী নই। নষ্ট হয়ে গেছে আমি সেই ভাগ্য, উজাড় হয়ে গেছে আমি সেই শহর। এই হলো সুলেমানের অবস্থা। তবু সুলেমান ভুলে থাকতে চায় যে তার কোনো ক্ষমতা নেই। সে রবকে ডর করে। বেরহম সে নয় এই তার ভরসা। সেদিন সকালে সুলেমান শুয়ে ছিল, একটি ছেলে এসে বলল তাকে তার মালিক ডাকছে। তখনও সুলেমানের ঘুমের ঘোর ভাল করে কাটেনি। সারা শরীরে অবসাদ। সুলেমানের Bate মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে নোকরী করে তাই বলে কারও নোকর সে নয়। যখন খুশি ডেকে পাঠালেই হলো? এখন সে কিছুতেই যাবে না। আরও অনেকক্ষণ শুয়ে বসে থেকে সুলেমান হাবিবের দোকানে চা খেতে CHAT সেখানে আবার সেই ছেলেটা, মালিক ডাকছে। চল সুলেমান | দ্যাখ লোকটা এত ডাকাডাকি করছে কেন? সুলেমান ভেবেছিল, গিয়ে দেখবে মালিক খুব গুস্সা করে বসে আছে | কিন্তু তার চোখ- মুখের ভাব দেখে সে বিস্মিত না হয়ে পারল না। মালিক তাকে বসতে বলে একটা চিঠি এগিয়ে দিল। এগিয়ে দিয়েই মালিক গড়গড় করে বলতে লাগল, আফগানিস্তান থেকে কাল রাতে একজন লোক এসেছে। সেই মালিকের বাবার এই চিঠি নিয়ে এসেছে। বাবা লিখেছে, গত কমাসের আদায়পত্র তাকে খুবই নিরাশ করেছে। এখানে আগে যে ছিল সে তো বহু অর্থ নষ্ট করে, চরিত্র নষ্ট করে এখান থেকে চলে গিয়েছে। সুলেমানের মালিকও সেই পথে যাচ্ছে কিনা মালিকের বাপের সেই সন্দেহ যে চিঠি নিয়ে এসেছে সে খুব বিশ্বস্ত লোক। সে নিজের চোখে সব দেখবে, কাজ-কারবার কি চলছে না চলছে | প্রয়োজন হলে সে সুলেমানের মালিককে ফেরত পাঠিয়ে দেবে। সুলেমান মালিকের এমন, অসহায় চেহারা কখনও দেখেনি। এ কথা ঠিক সুলেমান যতটা জানে, তাঁর মালিকের চরিত্রে কোন খাদ নেই শুধু সন্দেহ থেকে তাকে এখান থেকে চলে যেতে হলে সেটা খুবই অন্যায় হবে। সেটা সুলেমানের পক্ষেও লজ্জার ব্যাপার। সে মালিককে বলল যে, সে জান দিয়ে চেষ্টা করবে যাতে ভাল আদায় হয়। কিন্তু মালিকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সুলেমানের সন্দেহ হল, এমন হতেও তো পারে মালিকের গোটা ব্যাপারটাই বানানো। তাকে একটা চিঠি দেখানো হয়েছে ঠিকই । কিন্তু সে চিঠিটা সুলেমান পড়তে পারেনি। তার ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই মালিক এসব বানিয়ে বলছে না তার ঠিক কি? এখন সুূলেমানকে সত্যি ব্যাপারটা জানতে ACA | একদিকে মালিক সত্যিই বিপদে পড়েছে, না খাতকদের ওপর আর সুলেমানের ওপর জুলুম করতে চাইছে আর একদিকেঁ যেসব খাতক কিস্তির খেলাপ করছে, তারা দিতে পেরেও দিচ্ছে না, না সত্যিই তারা Gigs | হ্যা বিচার করে দেখতে ACSF 1 St বিচার-_দুনিয়ায় সবাই ইনসাফ চায়। সুলেমানওtern । সুলেমান রাজা সুলেমানের গল্প শুনেছে। এক বাগদাদের বাদশাহ হারুণ-অল-রসিদ Pla এই রাজা সুলেমান Jat ন্যায়বিচারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। রহিমুদ্দিন লেনের সুলেমান যার ধমনীতে হিন্দুস্তানের শাসকের খুন বয়ে যাচ্ছে আজ ইনসাফ তার ওপর নির্ভর করছে। সুলেমানের যেন হঠাৎ শক্তি বেড়ে গেছে। মালিক যদি সত্যি বিপদে পড়ে থাকে তবে তার স্বার্থ সুলেমানের দেখা উচিত। যারা আমোদ-আহ্লা্দ করে ১৬



Leave a Comment