যুগনায়ক বিবেকানন্দ [খণ্ড-৩] [সংস্করণ-১] | Yuganayak Vivekananda [Vol. 3] [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যুগপ্রবর্তন ৩, পর তাহারই আদেশত্রমে--বা 'চাপরাশ পাইয়'-_-লোককল্যাণে নিযুক্ত হওয়া উচিত, তৎপুর্বে নহে। কিন্তু এই কথা শুধু আচার্যদের পক্ষেই প্রযোজ্য; যাহারা অপরকে ভগবংপথে চলিবার উপদেশ দিবেন, তাহাদের নিজেদের অনুভূতি থাকা একান্ত আবশ্যক WAG যাহারা ঈশ্বরলাভের উপায়রূপে তাহারই আরাধনা Birr ভক্তিভাবে সেবাব্রত গ্রহণ করেন, তাহাদের সম্বন্ধে একথা প্রযোজ্য নহে। আবার সাধনা হিসাবে এই পথকে অন্যান্য স্থপরিচিত পথ অপেক্ষা নিম্নতর স্থান দেওয়াও চলে না--কারণ সেবার সহিত ভক্তি, বিচার, ত্যাগ, একাগ্রতা প্রভৃতি অঙ্গাঙ্গিভাবে বিজড়িত | স্বামীজী উপযুক্ত কর্মী প্রস্তুত করিবার জন্য এইভাবে সকলকে প্রোৎসাহিত করিতে থাকিলেও তাহার বুঝিতে বাকি ছিল না যে, দেশের লোকের মানসিক সহাঈভূতি পাইলেও ভারতবর্ষে কাজ গড়িয়া তোলার একটি প্রধান অন্তরায় অর্থাভাব। Aye eft বুল ও শ্রীমতী মার্গারেট নোবলকে (ভগিনী নিবেদিতাকে ) লিখিত ৫ই মে (১৮৯৭) তারিখের দুইখানি পত্রে স্বামীজী এই অসন্তুবিধার কথাই লিখিয়াছিলেন। প্রথম পত্রে আছে : “এখানকার অবস্থা বেশ আশাজনক বলে বোধ হচ্ছে না- যদিও সমস্ত জাতটা একযোগে আমাকে সম্মান করেছে এবং আমাকে নিয়ে প্রায় পাগল হয়ে যাবার মতো হয়েছিল! কোন বিষয়ে কার্যকারিতার দিকটা ভারতবর্ষে আদৌ দেখতে পাবে না।-*-'ভারতবর্ষ ইতিমধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণের হয়ে গেছে।” দ্বিতীয় পত্রে আছে অন্য প্রকারে ইহারই পুনরাবৃত্তি : “হুংখ হয় এই জন্য যে, আমার আদর্শগুলি কার্যে পরিণত হবার কিছুমাত্র স্থযোগ পেল না। আর তুমি তো জানই, অন্তরায় হচ্ছে অর্থাভাব। হিন্দুরা শোভাযাত্রা এবং আরও কত্ত কিছু করছে; কিন্তু otal টাকা দিতে পারে at |” অর্থাভাবে স্বীয় আদর্শকে SS কার্যে পরিণত করিতে অসমর্থ হইলেও VT HY চুপ করিয়| থাকিলেন না। তিনি এঁ জন্য বিবিধ উপায় অবলম্বনে তৎপর হইলেন | ভারতে অর্থ না থাকিলেও এখানে ত্যাগের মহিমা স্বীকৃত হয় এবং স্বল্পসংখ্যক হইলেও তখনও এঁ আদর্শে মানুষ Ves হইত; আর স্বামীজী জানিতেন, টাকায় মানুষ গড়ে a, মানুষই Ste] তৈরী ca শীরামকৃষ্ণের ভাবে Bas কয়েকজন যুবক স্বামীজীর আমেরিকায় অবস্থানকাল হইতেই WI যাতায়াত করিতেছিলেন এবং cae কেহ মঠে যোগদানও করিয়াছিলেন, তাহার



Leave a Comment