একুশের স্মারকগ্রন্থ সাতাশি | Ekusher Smarakgrantha Satashi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
b একুশের স্মারকগ্রন্থ সাতাশি তাতে আমার প্রত্যাশা পূরণ হলো a1 তিনি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে ওকালতি করেন। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলাকে তিনি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ন।। জিন্নাহর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও আস্থা ধলিসাৎ হয়ে গেলো | ২২শে মার্চ ১৯৪৮ কার্জন হলে ঢাক৷ বিশ্বাবদ্যালয়ের বিশেষ সমা- TST সভা আহ্বান Far হয়েছে । জিন্নাহ সভাঁর প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত FATA! আমি গত বছর (১৯৪৭) বি.এ. পাশ করেছি। সনদ গ্রহণের জন্য কার্জন হলে সমাবর্তন সভায় যাই। যথারীতি সমাবর্তন সভা শুরু হলো ৷ fants প্রধান অতিথির ভাষণের এক পর্যায়ে তার রেসকোর্স ময়দানের Teor পুনরাবৃত্তি করে বললেন, “উর্দু, CHS হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ” একথা বলার সাথে সাথে আমি দাঁড়িয়ে চীৎকার করে বললাম-“নো,” “নো”। সভায় সনদ গ্রহণের জন্য আগত অন্যান্য ব্যক্তিরা আমার am একই eats তুললেন-নো' “নো'। জিন্নাহ বিমর্ষ হয়ে গেলেন। ভাষা সম্পর্কে তিনি আর বক্তব্য বাড়ালেন না । বেতন বৃদ্ধির দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়শ্রেণীর কর্মচারীরা ১৯৪৯-এর মার্চ মাসে ধর্মঘট শুরু করে। তাঁদের দাবী-দাওয়া ছিলো ন্যায্য । আমি এ আন্দোলনকে সমর্থন দিলাম। একদিন ধর্মঘটা কর্মচারীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেক্তেটারিয়েটের গেটের কাছে যাই ৷ পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে! এক যাস ডিটেনশন দিয় আমাকে সেন্ট্রাল জেলে পাঠানে! হলো ৷ সরকার ডিটেনশন আর বাড়ালো wT জেল থেকে মুক্তি পেলাম । একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাঁধ আমাকে Sta অফিসে ডেকে পাঠালেন। উপাচার্যের সাথে সাক্ষাতের জন্য তার অফিস কক্ষে যাই । BA ঢুকেই তার টেবিলের সামনের চেয়ারে বসে পড়ি। উপাচার্য আমার দিকে তাকিয়ে রুক্ষস্বরে বললেন, “তুমি কার নির্দেশে এখানে চেয়ারে বসলে ?” তিনি আমাকে চেয়ার থেকে উঠে যেতে আদেশ করলেন | উপাচারের এই অশালীন আচরণে আমি অপমানিত বোধ করি। তাঁর ওপর আমার রাগ হলো । আর রাগ হওয়াটাই স্বাতাবিক। ছার্রে-শিক্ষকের সম্পর্ক এটা নয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের Stee আর আমি তাঁর ছাত্র। তাঁর ste থেকে cae পাওয়াটাই আমি acorn করেছিলাম। এর রিপরীতে তাঁর কাছ থেকে



Leave a Comment