For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)নজরুল ইসলাম তার চরিত্রের এই দিকটা জানা! ছিল বলেই আমার কোনো অভিমানের
অভিযোগ ছিল না তার ওপর |
কুমিল্লায় তো তিনি গেলেন । দিনের পর দিন, মাসের পর মাস
কেটে যায়--না চিঠি না পত্তর, না খোজ না খবর। লোকমুখে
ভালোমন্দ সত্যমিথ্যা নানা গুজব রটতে লাগলো তার সম্বন্ধে। সে-
সবের-সার সনঙ্কলন করে দাড়ালে! এই যে, তিনি প্রথমতঃ গিয়েছিলেন
কুমিল্লার একটি পল্লীগ্রামে। সেখান থেকে চলে এসে কুমিল্লা শহরে
অবস্থান করছেন এবং সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগে
শহরটিকে বেশ তাতিয়ে তুলেছেন
মাস-ছয়েক কেটে যাবার পর নজরুল ফিরলেন কলকাতায় | ফিরে আবার এখানকার আসর জাকিয়ে তুললেন। এই সময়
তার ইচ্ছে হলে৷ একখানি সাপ্তাহিক বের করবার | কাগজের নাম
হলো “YASS | “আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু, আধারে বীধ, অগ্নি-সেতু, দুদিনের এই দুর্গ-শিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয়-কেতন | অল্পক্ষণের তিলক-রেখা রাতের ভালে CUS না লেখা, জাগিয়ে দে রে চমক মেরে আছে যারা অর্ধচেতন ।” _রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী শিরে ধারণ করে প্রতিসংখ্যা৷ 'ধূমকেতু' যে
অগ্নিবষ্টি করতে আরম্ভ করলো, তার একটি gf নজরুলের
“আগমনী কবিতার ভিতর থেকে বেরিয়ে সটান গিয়ে পড়লে! লাল-
বাজার পুলিসের আপিসে ৷ সঙ্গে সঙ্গে সিপাহী-সান্ত্রীতে “ধূমকেতু”
আপিস ভরে গেল | তন্ন তন্ন করে খানাতল্লাশির পর তারা সেই
সংখ্যা! ধূমকেতু নিঃশেষে সংগ্রহ করলেন। নজরুলের নামেও গ্রেপ্তারী