বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার | Bangla Rongaloy O Sishirkumar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
@ বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার বি-এ ডিগ্রিধারী মনোমোহ্‌ন গোষ্বামীকে নিয়েও আগে খুব ঢাক-ঢোল' পিটানো হয়েছিল। প্রাচীরপত্রে বড় বড় হরপে নাম, মঞ্চের উপরে বড় বড় ভূমিকা- কিন্তু হায়, শেষটা দেখা গেল যে, গৌসাইজী হচ্ছেন পিতলের কাটারির মত--যা উপরেই ঝক্মকে, কিন্তু কাজে বড় আমে না। ম্যাডান কোম্প/নীও তেমনি আর একখানি পিতলের কাটার আমদানি করছেন নাকি ] ঠিক এই সময়েই cata নটরূপে শিশিরকুমারের শেষ-অভিনয় দেখবার Waly পেয়ে যথামময়েই প্রেক্ষাবৃহে গিয়ে হাজিরা দিতে বিলম্ব করলুম না। পালা ছিল “পাওুবের অজ্ঞাতবাস”, শিশিরকুমার গ্রহণ করবেন ভীম ও বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের ভুঁমিকা। যবনিক৷ উঠল। অভিনয় যা দেখলুম, আমার কল্পনাতীত। মে অভিনয়ের বিস্তৃত বর্ণনা প্রকাশ করেছিলুম তখনকার বিখ্যাত দৈনিকপত্র “হিন্দুস্থানে” ( সম্পাদক ছিলেন স্বর্গায় ললিতমোইন গুপ্ত )। বাংলা satay তখনও প্রডিউদার বা প্রয়োগকর্ত! ব'লে কোন: ব্যক্তির অস্তিত্ব ছিল না। এবং প্রয়োগনৈপুন্য কাকে বলে মে ARTE: কারুর কোন পরিষ্কার visti ছিল ব'লেও আমার বিশ্বাস নেই। এ বিষয় নিয়ে বিশেষ আলোচনা করব পরে, এখানে খালি এইটুকুই ব'লে রাখি যে, জোড়াসাকে! ঠাকুরবাড়ীর বাইরে বাংলা নাট্যঙ্গাগতে সর্ববপ্রথমে নবযুগোপযোগী প্রয়োগকৌশলের পরিচয় পেয়েছিলুম সেই “পাও্ডবের অজ্ঞাতবাম” নাট্যাভিনয়েই । শিশিরকুমারের অভিময় তখনও যে অতুলনীয় ও প্রথম শ্রেণীর উপযোগী হয়েছিল সে কথা বলাই বাহুল্য । কিন্তু সেইসঙ্গে বিশেষভাবে অভিভূত হয়েছিলুম তার প্রয়োগপটুতা দেখে (আগেই ছশুনেছিলুম এই অন্নষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন তিনিই )। অমন যে মেকেলে পালা, প্রয়োগপটুতার গুণে তাও হয়ে উঠেছিল মণ্পূরণ।



Leave a Comment