For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জীবনচরিত /ড অপরূপ প্রকাশ আর কিছু হতে পারে না বলে এ ছবি বিস্ময়কর কীর্তি হিশেবে প্রথম থেকেই
স্বীকৃত। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিলেন আত্মিক শক্তিতে চরিত্রবান, তার সমস্ত কাজে ছিল ওঁদার্যের ছাপ।
শোনা যায়, একবার ব্যাঙ্ক থেকে তার জন্য পিয়েরো সোদোরিনি-কর্তৃক বরাদ্দ মাসিক বেতন
তুলতে গেলে কোষাধ্যক্ষ তাকে খুচরো পয়সার কয়েকটি কাগজের খাম দিতে যান। বিরক্ত
লিওনার্দো, 'আমি তোমাদের এ দু'পয়সার ছবি-আঁকিয়ে নয় হে' বলে তা নিতে অস্বীকার
করেন। পোপ দশম লিও-র সম্ভ পিটারের পদে অভিষেকের সময় লিওনার্দো রোমের যাত্রাপথে ডিউক
গিলিয়ানো দ্য' মেদিচি-র সঙ্গী হন! যাজক ভদ্রলোকের দার্শনিক অন্বেষা ছিল, বিশেষত আ্যালকেমি
বা কিমিয়াশাস্ত্রে তার গভীর আসক্তি ছিল। লিওনার্দো পথেই মোম থেকে একজাতীয় পিণ্ড তৈরি
করে অর্ধতরল অবস্থায় তার থেকে কয়েকটি প্রাণীর অবয়ব বানালেন, ফীপা ও অত্যন্ত PH
বুনোটের পুতুলগুলির মধ্যে তারপর হাওয়া ভরে ফুলিয়ে আকাশে ভাসিয়ে দিলেন। হাওয়া
বেরিয়ে গেলেই অবশ্য সেসব আবার মাটিয়ে পড়ে যায়। একদিন বেলভেড্র-এর দ্রাক্ষাকুঞ্জের
এক মালি ভারি বিচিত্র এক সরীসৃপ-জাতীয় প্রাণী দেখতে পায়, লিওনার্দো এ জাতীয় অন্য
একটি সরীসৃপের চামড়া থেকে তার জন্য ডানা বানিয়ে দেন। সেই ডানার উপর পারদের
প্রলেপ লাগিয়ে তারপর তার চোখ, শিং এবং দাড়ির ব্যবস্থা করে তাকে পোষ মানান। যে-কেউ
তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসত তাদের সঙ্গে সোৎসাহে তিনি এই প্রাণীটির পরিচয়
করিয়ে দিতেন, আতঙ্কিত হয়ে অচিরেই তারা ছুটে পালাত। ঠিক এভাবেই ভেড়ার অস্ত্র পরিষ্কার
করে তাতে AAT দিয়ে হাওয়া ভরে যেতেন তিনি, অস্তত ততক্ষণ যতক্ষণ-না তা ফুলে-ফেঁপে
সারা ঘর ভরিয়ে ফেলে। তারপর WY করতেন, এ হলো প্রতিভা বা সহজাত ক্ষমতার যথার্থ
প্রতীক, আগে ছোট্ট একটুখানি জায়গায় আবদ্ধ থাকলেও তা প্রয়োজনে বিরাট জায়গা অধিকার
করে নেওয়ার সামর্থ্য রাখে। দর্পণ ও দৃষ্টিধর্ম-সংক্রান্ত নানান যন্ত্রপাতি নিয়ে তিনি প্রচুর
পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। শোনা যায় তৈলচিত্রের জন্য বিশেষ ধরনের তেল এবং ছবি সংরক্ষণের
জন্য ব্যবহৃত বার্নিশ তৈরির পিছনেও তিনি অনেক সময় ব্যয় করেছেন। কথিত আছে যে
একবার পোপ লিও-র কাছ থেকে কোন একটি ছবির ফরমাশ মেলার সঙ্গে-সঙ্গে বার্নিশের জন্য
ভেষজ VT ও তেল নিষ্কাশন করতে শুরু করেন তিনি। তা দেখে যাজকমহোদয় বলে ওঠেন
যে হায়, এ যে কাজ শুরু করার আগেই তার শেষের চিস্তা, বোঝাই যাচ্ছে লোকটা কাজের
কাজ কিছুই শেষ পর্যন্ত করবে না'। মিচেলাগনোলো ব্যুনারোত্তি'র সঙ্গে লিওনার্দোর বিরোধ