মা বোনেদের প্রতি কেন এত বীভৎসতা | Ma Boneder Prati Keno Eto Bibhathsata

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ মা বোনেদের প্রতি কেন এত বীভৎংসতা! নিজের পদেই। মহাকরণে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানিয়ে দিলেন, “যা বলার বিধানসভায় বলব।” আইসমালি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে সি পি এমের গ্রাম প্রধান হিমাংশু বিশ্বাস নির্যাতিতাদের কমিশনের সামনে হাজির করান। ধানতলা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগণার গোপালনগরের কুচিয়ামোড়া গ্রামে যান কেন্দ্রীয় কমিশনের সদস্যরা। সেখানেও নির্যাতিতাদের সঙ্গে AAS কথা হলো তাদের। পরে জাতীয় মহিলা কমিশনের নেত্রী সুধা দেবী বলেন, “৫ ফেব্রুয়ারী রাতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার পিছনে কারা আছে, তা খতিয়ে দেখতে আমরা এখানে এসেছি।” তিনি জানান, BGA মহিলা কমিশনের কাছে সেই রাতে তাদের উপরে অত)।ঙরের বিবরণ দিয়েছেন। রাজ্য মহিলা কমিশনের রিপোর্ট মোতাবেক, পুলিশ প্রথম থেকে মহিলাদের উপরে নির্যাতনের ঘটনা চেপে যেতে চেয়েছিল। এখনও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকজনকে পুলিশের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। কমিশন ধানতলা থানার ও সি সুভাষ রায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছিল | মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডি আই জি দুর্গাপ্রসাদ তারানিয়া অবশ্য ওই সব অভিযোগ মানতে চান নি। নদীয়ার পুলিশ সুপার বিনয় চত্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে ডি আই জি বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ চেপে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু TA হয়েছে” ডি আই জি-র দাবি, সামাজিক কারণে মহিলারা প্রথমে মুখ খোলেননি। অভিযোগ দেরীতে নথিবদ্ধ হওয়ায় নির্যাতিত মহিলাদের ডাত্তগরি পরীক্ষা করা হয় নি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যাদের প্রশ্নের মুখে এদিন জেরবার হতে হয় ধানতলা থানার ও সি সুভাষ রায়কে। কমিশনের দুই প্রতিনিধি সুধা মালিয়া ও নাফিসা হোসেন তার কাছে জানতে চান, সেই রাতে পুলিশ কোথায় ছিল? নিকটবর্তী পুলিশ ক্যাম্প ঘটনাস্থল থকে কত দূরে? সেখানে পুলিশের সংখ্যা কত? ও সি-র কাছে কমিশনের অন্য দুই প্রতিনিধি পি আর কক্কর এবং কে গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল, এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও পুলিশ তা জানতে পারল না? সেই রাতে যেখানে তুলে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল, সেই নির্মিয়মাণ মাদ্রাসা কারা চালান, পুলিশ প্রশাসনের কাছে তা-ও জানতে চান কমিশনের প্রতিনিধিরা | রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের স্পেশাল সুপার রামফল পাওয়ার জানান, এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুলতান সহ কয়েকজন দাগী অপরাধীকে হন্যে হয়ে খোঁতা হচ্ছে। সুলতানই বাসচালক সমীর ঘোষকে গুলি করে খুন করেছে বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধানতলার ঘটনার তদন্তে আসা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের অত্যাচারিতাদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি বলে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানস ভুঁইয়া অভিযোগ করেছেন। ওই প্রতিনিধিদলের কাছে প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাণাঘাটের মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ হবে বলে মানসবাবু জানিয়েছেন। তার দাবি, “ধানতলা থানার ও সি-কে বরখাস্ত এবং জেলার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করতে হবে।” অন্য দিকে, পি ডি এসের সাধারণ সম্পাদক সমীর পুততুন্ড দাবি করেছেন, ধানতলার ঘটনার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কাজে যুক্ত সকলকে শাস্তি দিতে হবে।”



Leave a Comment