ভারতদূত রবীন্দ্রনাথ | Bharatdyut Rabindranath

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
8 ভারতদূত রবীন্দ্রনাথ করতে যেমন তৎপর তেমন শত্রুকে ক্ষমা করবার মত উদারতা হৃদয়ে বহন করেন | কর্মী সেখানে কর্মফল সম্বন্ধে উদাসীন থেকে কর্তব্য সম্পাদন করেন । আর গৃহী সেখানে শুধু পরিবার পালন করেন না, প্রতিবেশী, বন্ধু, অতিথি এবং অনাথেরও অভাব মোচনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মোটামুটি এই আদর্শে সংযম, পরার্থ-সাধন এবং সামগ্রিক কল্যাণকর্মই ছিল জীবনের মুলমন্তর। এক সর্বব্যাপী সত্তার প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি বোধ এমন ভাবেই মানুষের মনকে সেদিন অভিভূত safer | এই বৈশিষ্ট্যগুলি সূচিত করতে তিনি বলেছেন : ভোগেরে বেঁধেছ তুমি সংযমের সাথে, নির্মল বৈরাগ্যে দৈন্য করেছ উজ্জ্বল, সম্পদেরে পুণ্যকর্মে করেছ মঙ্গল, শিখায়েছ স্বার্থ ত্যজি সর্ব দুঃখে স্বখে সার রাখিতে নিত্য Scat সম্মুখে | তার সবথেকে গর্বের বিষয় এই যে ভারতের খষি একদিন আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে এমন চরম উপলব্ধি লাভ করেছিলেন যে বিশ্ববাসীকে দৃপ্ত ভঙ্গিতে বলতে পেরেছিলেন যে অন্ধকারের পরে যে মহান সত্তা অবস্থান করেন তাকে তারা উপলব্ধির করেছেন; 'জানামি এতং পুরুষং মহান্তম' ! চরম উপলব্ধির প্রত্যয় না ফুটে উঠলে এমন গর্বভরে কেউ কি বিশ্ববাসীকে সে উপলব্ধি কথা ঘোষণা করতে পারেন? কবির মন তাই তাদের প্রতি শদ্ধায় অবনমিত। সে ছিল এক ভিন্ন কাল যখন ভারতবাসী আধ্যাত্মিক সম্পদে চরম সমৃদ্ধি লাভ করেছিল । তখন তাই ভারতের বাণী শোনাবার wy বিশ্ববাসী গভীর আগহ নিয়ে অপেক্ষা SAG | তার তুলনায় এখন আমরা কোথায় আছি ? তার ভাষায় এখন আমর আছি ঃ দীপহীন জীর্ণভিত্তি অবসাদপুরে SINE, সহস্র ক্রকুটির নিচে কুন্জপৃষ্ঠে নতশিরে, সহস্ের পিছে



Leave a Comment