For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)তাছাড়া, শিউলিবাড়ির দক্ষিণের on core চমৎকার চেহারার
যত বাংলো গড়নের বাড়ি দেখা যায়, সেগুলির বেশির ভাগই
বাঙালীর বাড়ি। অনেকদিন আগেই শিউলিবাড়ির জল-হাওয়ার
স্থনাম কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। এমনিতেই নয়, এই
মাটিসাহেবই রেল-বিভাগের অনেক বড়-বড় বাঙালী অফিসারকে
বুঝিয়েছিলেন, আর তাঁদেরই দিয়ে শিউলিবাড়ির স্বাস্থোর গৌরব
প্রচার করিয়েছিলেন। শীতের সময় এইসব বাড়ির কোনটাই
খালি থাকে না । বাড়ির মালিকেরা নিজেরাও সপরিবারে আসেন;
আবার চার-পাঁচ মাসের ভাড়াটে হয়েও অনেকে আসেন | সে-সময়ে
এক-একদিন শিউলিবাড়ির শাস্ত কুয়াশাভরা সন্ধ্যার বুকে যেন নতুন
দীপালির আনন্দ মুখর হয়ে হেসে ওঠে। ছোট ছোট ছেলেরা
একলব্য অভিনয় করে। আর, ত্রেলোক্য-অপের| এসে স্বভদ্রাহরণ
গেয়ে চলে যায়। হাওয়া বদলাতে কলকাতা! থেকে বাঙালীর যারা আসেন, শুধু
তারা নন, বদলি হয়ে স্টেশনের নতুন স্টাফ হয়ে বাঙালী কর্মচারী
যারা আসেন, তারাও দেখে আশ্চর্য হয়ে থাকেন, শিউলিবাড়ির
বাজারে কইমাছ কিনতে পাওয়া যায়। সে কইয়ের স্বাস্থ্যের তুলনায়
যশোরের SSS রোগাটে | দামও অস্তত কলকাতার বাজারের চেয়ে
কম গলা-কাটা | শিউলিবাড়ির চারদিকে ঝুমরা রাজ এস্টেটের যত
ঝিল আছে, তার প্রায় সবগুলিই কইমাছে ভরে গিয়েছে | আরও নানা বিস্ময়ের চেহারা শিউলিবাড়ির এই ছোট্ট বাজারেই
দেখতে পাওয়া যাবে। হালুয়াই রামসিংহাসনের দোকানে সরপুরিয়৷
আর ক্ষীরমোহন পাওয়া যাবে। আদিবাসী মেয়েরাও ঝুড়ি-ভতি
মুড়ির মোয়া নিয়ে বাজারের ভিতরে এক সারিতে বসে আছে।
রাচির পাইকারের লোকজন টাপা কলার কঁঁদি কেনবার জন্য এই
শিউলিবাড়ির বাজারে এসে ভিড় করেছে ; দশ বছর আগে ওরা
শেওড়াফুলিতে যেত | তিন দিকে পাহাড় আর প্রায় চারদিকেই জঙ্গল--বাংলা দেশ ণ