উপন্যাস সমগ্র [খণ্ড-৩ ] | Upanyash Samagra [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কোনো চিহনও নেই চোখে-মুখে। শাড়ি কোমরে জড়িয়ে ঘরের পানি সরাবার ব্যবস্থা করছে। 'সকালে যা করবার করবে। এখন এসব রাখ তো।' 'ইস্‌, কী অবস্থা হয়েছে দেখ না।” 'হোক, এস তো acs’ রানু হাসি-হাসি মুখে এগিয়ে এল। 'এখন আর তোমার ভয় লাগছে না?” ‘aN’ } 'জানালার পাশে কে যেন দীড়িয়ে ছিল বলেছিলে! 'এখন কেউ নেই। আর থাকলেও কিছু যায় আসে না।' আনিস দ্বিতীয় সিগারেটটা ধরাল। হালকা গলায় বলল, 'এক কাপ চা করতে পারবে? “BI, এত রাতে! 'এখন আর ঘুম আসবে না, কর দেখি এক কাপ।' রানু চা বানাতে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই পানি ফোটার শব্দ হল। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে AHA করে। রানু একা-একা রান্নাঘরে। কে বলবে এই মেয়েটিই অল্প কিছুক্ষণ আগে ভয়ে অস্থির হয়ে গিয়েছিল। ছাদে আবার ঝুপঝুপ শব্দ হচ্ছে। এই বৃষ্টির মধ্যে বানর এসেছে নাকি? আনিস উঠে গিয়ে রান্নাঘরে উঁকি দিল। হালকা গলায় বলল, 'ছাদে বড়ো ধুপধাপ শব্দ AOR’ রানু জবাব দিল না। আনিস বলল, 'এই বাড়িটা ছেড়ে দেব।' ‘FB এরকম বাড়ি আর পাবে AT’ 'দেখি পাই কিনা।' 'চায়ে চিনি হয়েছে তোমার?” 'হয়েছে। তুমি নিলে না?' 'নাহ্‌, রাত-দুপুরে চা খেলে আমার আর ঘুম হবে না।” রানু হাই তুলল। আনিস বলল, 'এখন বল তো তোমার স্বপ্-বৃত্তান্ত।” 'কোন স্বপ্নের কথা?” 'এ যেস্বপ্ব দেখলে। একটা বেঁটে লোক।” 'কখন আবার এই স্বপ্ন দেখলাম? কী যে তুমি বল!' . আনিস আর কিছু বলল না। চা শেষ করে ঘুমুতে গেল। শীত-শীত করছিল। রানু পা গুটিয়ে বাচ্চা মেয়ের মতো STATA! একটি হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে আনিসকে। তার ভারি নিঃশ্বাস পড়ছে। ঘুমিয়ে পড়েছে বোধহয়। জানালায় নারকেল গাছের ছায়া পড়েছে। মানুষের মতোই লাগছে ছায়াটাকে। বাতাসে গাছের পাতা নড়ছে। মনে হচ্ছে মানুষটি হাত নাড়ছে। ঘরের ভেতর মিষ্টি একটা গন্ধ। মিষ্টি, কিন্তু অচেনা।



Leave a Comment