বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংস্কৃতির পটভূমি | Bangladesher Swadhinata Sangramer Sanskriti Patabhumi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভাষা আন্দোলন ১৯ অনেক সময় লেগেছিলো। প্রকৃত পক্ষে, এ শ্রেণীর উদ্ভব সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতা অর্জনের পরেই । এই মধ্যবিত্তদের মাতৃ- ভাষা বাংলা এবং তা স্বীকার করতে গিয়ে কোনো হীনমন্যতা তাদের মনকে পীড়িত করেনি। উপরন্তু চরম ত্যাগের মধ্য দিয়েই তারা মাতৃভাষার মর্ধাদা প্রতিচিত করেছেন। দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর নির্ভর করে দেশবিভাগের যে আন্দোলন পরিচালিত হয়, Sta নায়ক ছিলেন কুলীন নবাবরা--উদুকে tal মাতৃভাষা বলে গণ্য করতেন। এ'দের পক্ষে উদুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিশেবে san করা৷ অস্বাভাবিক ছিলো না। তদুপরি পাকিস্তানের কিন্তুত ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভাষা-সংস্কৃতির সর্বাত্মক বৈসদৃশ্য একটি সংহত রাষ্ট্র গঠনের প্রতিকূল, মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ও তার চেলার৷ এ সত্য ভালো- ভাবেই জানতেন। এই জন্যে, প্রথম থেকেই তারা ভাষা ও স্কৃতিকে একটি ছাচে ফেলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তারা ভৌগোলিক দূরত্ব জয় করতে চেয়েছিলেন ধর্মের জিগির তুলে এবং জনগণকে সর্বদা ভারতীয় GAA ভয় দেখিয়ে | বাংলা ও বাঙালির প্রতি শাসকবর্গের মনোভাব মুখোশমুক্ত হয়ে প্রকাশ পায় দেশবিভাগের অব্যবহিত পরেই । তৎকালীন পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য প্রীধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন এই বৃদ্ধ দেশ- প্রেমিক ও রাজনীতিক ) ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারির গণ- পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাব করেন যে, ইংরেজি ও উছুর সঙ্গে বাংলা ভাষাও যেন পরিষদের অন্যতম ভাষা হিশেবে মর্যাদা লাভ করে। ২৫শে ফেব্রুয়ারি এ প্রস্তাব নিয়ে পরিষদে আলোচনা চলে । লিয়াকত আলী খান, পাকিস্তানের সে সময়কার প্রধান- মন্ত্রী, এ প্রস্তাবের তীত্র বিরোধিতা করেন। কেননা তিনি



Leave a Comment