বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
82 MB
মোট পৃষ্ঠা
833
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ এঁতিহাসিক কাহিনী aya
শত্রু | দুর্সসন্নিধানে যদি ইহাদের দেখিতে পাও, নির্দয়ভাবে হত্যা করিও ।” তাই ভাবি, কালের কি কুটিল গতি ! আড়াই হাজার বৎসর পরে আজ পাটলিপুত্র-রচয়িতা
মগধের পরাক্রান্ত মহামন্ত্রী বর্ষকারের নাম কেহ শুনিয়াছে কি ? কিন্তু শাক্যবংশের সেই রাজ্যভ্রষ্ট
যুবরাজ ? আজ অর্ধেক এশিয়া তাঁহার নাম জপ করিতেছে | সসাগরা পৃদ্ধীকে যাহারা বারবনিতার
ন্যায় উপভোগ করিয়াছিল, তাহাদের নাম সেই ভূঞ্জিতা ধরিত্রীর ধূলিকণার সহিত মিশাইয়া
গিয়াছে; আর যে নিঃসম্বল রাজ-ভিখারীর একমাত্র সম্পদ ছিল Raft, সেই শাক্যসিংহের নাম
অনির্বণি শিখার ন্যায় OMAR মানবকে জ্যোতির পথ নির্দেশ করিতেছে | বর্ষাকালে স্থপতি-সূত্রধার-সম্প্রদায় প্রায়শঃ বসিয়া থাকে । তাই আমার শ্রেণীভুক্ত
শ্রমিকদিগকে সংগ্রহ করিতে বড় বিলম্ব হইল না । যথাসময় আমার দশ হাজার শিল্পী নগরের
ভিন্ন ভিন্ন তোরণ দিয়া বাহির হইয়া গেল | কোনও পথে দুই শত, কোনও পথে চারি শত বাহির
AAAS নাগরিক সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে । বেলা প্রায় তিন প্রহরকালে নগরের
উত্তরে তিন ক্রোশ দূরে সকলে সমবেত হইল । এখান হইতে গঙ্গা-শোণ-সংগম প্রায় পঞ্চদশ ক্রোশ, ন্যূনাধিক এক দিনের পথ ৷ পরামর্শের
পর স্থির হইল যে, সন্ধ্যা পর্যন্ত যতদূর সম্ভব যাইব, তারপর পথিপার্্কে রাত্রি কাটাইয়া পরাহে
অতিপ্রত্যুষে আবার গন্তব্যস্থানের উদ্দেশে যাত্রা করিব | তাহা হইলে মধ্যাহ্নের পূর্বে পাটলিগ্রামে
পৌঁছিতে পারা যাইবে | তখন সকলে যুদ্ধগামী পদাতিক সৈন্যের মতো শ্রেণীবদ্ধভাবে চলিতে আরম্ভ করিল |
আকাশে প্রবল মেঘাড়ম্বর, শীতল বায়ু খরভাবে বহিতেছে; রাত্রিতে নিশ্চয় বৃষ্টি হইবে few
সেজন্য কাহারও উদ্বেগ নাই। আসন্ন কর্মের উল্লাসে সকলে মহানন্দে গান হিতে গাহিতে
চলিল | মগধরাজ্যের স্থানীয় বলিয়া তখন রাজগৃহ হইতে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম চতুর্দিকে বিভিন্ন
রাজ্যে যাইবার পথ ছিল | তদ্ভিন্ন নগর হইতে নগরাস্তরে যাইবার পথও ছিল aera
হইতে পথের জন্য Ase অর্থ ব্যয় করা হইত । আবশ্যক হিসাবে পথের উপর প্রস্তরথণ্
বিছাইয়া পথ পাকা করা হইত, পথিকের সুবিধার জন্য পথের ধারে কূপ খনন করানো হইত, ছায়া
করিবার জন্য দুই ধারে বট, অশ্বখ, শাল্মলী বৃক্ষ রোপিত হইত ৷ মধ্যে নদী পড়িলে সেতু বা
CAMA বন্দোবস্ত থাকিত | এই সকল পথে দলবদ্ধ বৈদেশিক বণিক্গণ অশ্ব, গর্দভ ও উষ্ট্রপৃষ্ঠে মহার্থ পণ্যভার বহন
করিয়া নগরে নগরে ক্রয়-বিক্রয় করিয়া বেড়াইত; নট-কুশীলব সম্প্রদায় আপন আপন
কলা-নৈপুণ্য দেখাইয়া ফিরিত | রাজদূত দ্রুতগামী অস্বে চড়িয়া বায়ুবেগে গোপনবার্তা! বহন
করিয়া রাজসমীপে উপস্থিত হইত ৷ কদাচ রাত্রিকালে এই সকল পথে দস্যু-তস্করের ভয়ও শুনা
যাইত | বন্য আটবিক জাতিরা এইরূপ উৎপাত করিত । কিন্তু তাহা side, কালেভদ্রে । পথের
পাশে সৈনিকের গুল্ম থাকায় তস্করগণ অধিক অত্যাচার করিতে সাহসী হইত না। রাজপথ
যথাসম্ভব নিরাপদ ছিল । | উত্তরে ভাগীরথীতীর পর্যন্ত মগধের সীমা--সেই পর্যন্ত পথ গিয়াছে । আমরা সেই পথ
ধরিয়া চলিলাম | ক্রমে সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনীভূত হইয়া আসিল, বায়ু স্তব্ধ এবং আকাশে মেঘপুঞ্জ
বর্ষণোন্মুখ হইয়া রহিল | আমরা রাত্রির মতো পথসন্নিকটে এক বিস্তীর্ণ প্রাম্তরে আশ্রয় লইলাম | প্রত্যেকের সহিত এক সন্ধ্যার আহার্য ছিল | fee বর্ষাকালে উন্মুক্ত প্রান্তরে রম্ধনের সুবিধা