ভ্রমণ-বৃত্তান্ত [খণ্ড-১] | Bhraman Brittanta [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সাগরসঙ্গী'(ও টাছবালী i cates afta বিল, যখন চতুদ্দিকের ট্যাগ মহা আঁধারে ডুবিল, তখন আমরা ক্ষণকাল চকিত: নয়নে জাহাজের পাশ্বের জলরাশির শোভা দেখিতে লাগিলাম। দেখিলাম, জাহাজের আঘাতে আঘাতে লবণাক্ত সাগর-জল কেমন এক অপুর্ব জ্যোতিকণা সকল বিকীর্ণ করিতেছে জল যেন শত শত 'নক্ষত্রের বেশ ধরিয়া অঅলিতেছে ;-_সেই রাশি রাশি ঈষৎ নীল ফেণার মধ্যে, জোনাকীর ory জলের ঝক্মকী দেখিয়া প্রাণ যেন কেমন BAN গেল! আমর! আত্মহারা হইলাম। দেখিতে দেখিতে শেষে আর দেখিতে ইচ্ছা হইল না। আমরা সমস্ত দিনের ক্লাস্তির পর একটু বিশ্রাম করিলাম। ইত্যবসরে রাত্রি প্রায় a ঘটকার সময় বৈতরণী নদীতে জাহাজ গ্জবেশ ক্রিল,--এবং WARY পরেই টাদবালীতে জাহাজের লোক সকলকে অবতরণ করিতে হইল ৷ সেই অপরিচিত স্থানে কোথায় যাইব, কোথায়. : থাকিব, ভাবিতে লাগিলাম; এদিকে জাহাজের থালাসীগণের বিকট - চিতকার ও অশ্লীল গান শুনিতে গুনিতে আমরা সেই বালিময় স্থানে দ্রব্যাদি লইয়া নামিলাম । মুটের সাহায্যে একটি ঘর ভাড়া করিলাম. আমাদের সেই হিন্দুস্থানী যাত্রীবন্ধু আমাদের সঙ্গ ছাড়িল না,--এক. ঘরেই থাকিল। সে দিন আর অন্নাহার হইল না--কষ্টে রজনী যাপন - ক্রিলাম। ৰ্ প্রাতে চাদবালী দেখিলাম। টাদবালীর নাম অনেক দিন গুনিয়াছিলাম, কিন্তু দেখিলাম, বৈতরণী নদী ভিন্ন সেখানে দেখিবার উপযুক্ত আর কিছুই. নাই। ৩ খানি জাহাজের লোক্‌ সেদিন aoe যাইবার জন্য টাদবালীতে অপেক্ষা করিতেছিল। সেখানে অনেকগুলি যাত্রী নিবাস। আর চতুর্দিকে, কেবল fa) অ।মরা প্রাতে কোন প্রকারে আহারের কার্য্যটা শেষ করিয়া কটকের জাহাজ ধরিব।র চেষ্টা করিতে লাগিলাম; কিন্তু দুঃখের কথা কি বলিব, যে জাহাজ ১০টার সময় ছাড়িবে, কথা ছিল, নেই জাহাজ ওটার পূর্বে টাদবালা ছাড়ল না। এই sie ঘণ্টা ছিমার-টিকিট-ঘরের পার্কে বসিয়া থাকিতে হইল ৷ টিকিট-বাবু এমন সত্যবাদী, এখনই জাহাজ ছাড়িবে বলিয়া টিকিটের টাকা লইলেন, কিন্তু জাহাজ কিছুতেই ৩টার পুর্বে ছাড়িল না। পাছে, আমরা অন্ত জাহাজে যাই, এজন্য বাবু এইরূপ সভ্য পথ অবলম্বন. করিয়া, আমাদিগকে নিদারুণ হুর্য্যের তাপে, এবং উত্তপ্ত বালুকণায় we করিলেন। মনে ভাবিলাম, বাঙ্গালী জাতি কতদিনে সত্যপ্রিয় হইবে!



Leave a Comment