For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)টুনটুনির বই-এর একটি রহস্য ১৯ নদীর জল ফেনিয়ে গেল।” অমনি ধপাস্ করে হাতির লেজটা পড়ে গেল। তারপর হাতি গাছতলা দিয়ে যাচ্ছে; গাছ তাকে দেখে বল্লে, “বাঃ রে, তোর এ কি হলো; তোর লেজ কোথায গেল?” হাতি বল্লে, “তা যদি বলি, তবে কিন্তু তোর পাতাগুলি সব এক্ষুনি ঝরে
পড়বে।” গাছ বল্লে, “পড়ে পড়ুক, তুই বল্ ।” তখন হাতি বল্লে- “উকুনে বুড়ি পুড়ে মোলো, বক সাতদিন উপোস রইল নদীর জল ফেনিয়ে গেল, হাতির লেজ খসে পড়ল।” অমনি ঝরঝর করে গাছের সবগুলি পাতা ঝরে পড়ে গেল। এইভাবে ঘুঘুর একটা চোখ কানা হয়ে গেল, রাখালের লাঠি আটকে রইল তার
হাতে, রাজবাড়ির দাসীর হাতে আটকে গেল PCA, রানীর হাতে থাল, রাজার পেছনে
পিঁড়ি আর রাজসভাসদের৷ আটকে গেলেন যে যার বসার জায়গায়। এই পর্যন্ত এসে
গল্পকথক ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তার যেন উদ্ভাবনা নিঃশেষিত হয়ে যায়। গল্পটির সমাপ্তি
কেমন যেন অসংগত, এই অলৌকিক ঘটনাবলীর পর অত্যন্ত প্রাত্যহিক। তারপর ?
“ভাগ্যিস সেই দেশে এক খুব বুদ্ধিমান নাপিত ছিলো, নইলে মুশকিলই হয়েছিল
আর fe নাপিত এসে বললে, “শীগগির ছুতোর ডাক”। “তখন ছুতোর এসে পিঁড়ি কেটে রাজামশাইকে ছাড়ালে আর তক্তপোশ কেটে
সভার লোকজনদের ছাড়ালে। একটু একটু কাঠ তবু সকলের গায়ে লেগে ছিলো,
সেটুকু চেছে তুলে দিলে। 'রানীর হাতের থালা, দাসীর হাতের Beal আর রাখালের হাতের লাঠি কেটে
ফেলে দেওয়া হলো'”। এই সমস্ত প্রাকৃতিক নিয়ম-বহির্তুত কাণ্ড-তারপর এরকম বাস্তববাদী
সমাধান আমাদের অসংগত ঠেকে। লোকণল্পে নাপিত সর্বদাই বুদ্ধিমান; কিন্তু তার
এখানে আমদানি fasted! ছুতোর এমনিতেই আসতে পারত; ছুতোরের
পরামশটা এমন কিছু অভাবনীয় নয় যে তা দেওয়ার জন্য মহাবুদ্ধিমান নাপিতের
প্রয়োজন। নিষ্্রয়োজন, কিন্তু লোকগল্পের প্রথাসিদ্ধ। লোকগল্পে প্রত্যেকটি ধাপ ভাগ করা;
গল্পের প্রত্যেকটি দিকপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনসূচক একটি চিহ্ন গল্পকথক
ব্যবহার করেন। এটি একটি মুদ্রা ; গল্পকথকের ঝুলিতে এরকম অনেকগুলি মুদ্রা
আছে, যেগুলি নানান way, নানা বিচিত্র ক্রমে, ব্যবহার করে তিনি নতুন-নতুন
গল্প সৃষ্টি করেন। পরামর্শদান কাহিনীটিতে একটি বিশেষ ঘটনা, লোকগল্পের রীতিই