শত বছরের বাংলা নাটকে নারীর অবস্থান | Shata Bacharer Bangla Natake Narir Abasthan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সত্যের afew করিয়েছেন-_ Mears আদেশে চিরায়ত 'বলিপ্রথা' রোধ হল। এখানেও একটি তত্ত্বকথা প্রাধান্য লাভ করলেও এ নাটকের প্রধান অবলম্বন ভিখারিনি অপর্ণা চরিত্রের মধ্যে দিয়েই আমরা তৎকালীন সমাজের অগ্রগতির পরিচয় পাই। “বিসর্জন' নাটকের মূলকথাই হল সংস্কারের সঙ্গে মানবতার TG সেখানে সংস্কার নয়, মানবতাই প্রধান । আর এর মুখ্যভূমিকায় পাই নারীকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের যাস্ত্রিক-সভ্যতা যে রূপ ও আকার ধারণ করেছিল একটি বিশেষ রূপকের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ তা তুলে ধরেছেন “মুক্তধারা” (১৯২২) নাটকে। এই নাটকে আছে 'বলিপ্রথার' বিরুদ্ধে প্রজা বিদ্রোহ ও সত্যাগ্রহের উল্লেখ | যন্ত্র (মেশিন) এই নাটকের একটা অংশ। এই AZ প্রাণকে আঘাত করেছে এবং Ve দিয়ে নয়, প্রাণ দিয়েই সেই যন্ত্র ভেঙেছে অভিজিৎ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ নাটকটিও SSAA | এখানে বাস্তব-সমাজের যথাযথ চিত্র পাওয়া না গেলেও নিচু তলার নারীর দুঃখ, যন্ত্রণা ও বঞ্চনার করুণ চিত্র পাওয়া যায়। এখানে নারী অসহায় হলেও যুগ বদলের সাথে সাথে, “দুখনী' ও HEY বালিকা'র মনেও ভালো, মন্দ বিচারের চেতনা জাগ্রত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বহু আলোচিত 'রক্তকরবী” (১৯২৬) নাটকটিও তত্তবপ্রধান। এই নাটকের মধ্যে আমরা আধুনিক যন্ত্র-সভ্যতার ধনবাদী শোষণের এক মর্মস্তুদ নগ্ন চিত্র পাই। ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার চাপে গ্রামের দরিদ্র কৃষকরা গৃহহারা থেকে সর্বহারাতে পরিণত। কৃষক রমণী নন্দিনী--সে এক বিপ্লবী শক্তি। নন্দিনীর উপস্থিতিতে আমরা দেখি যক্ষপুরীর শ্রমিকেরা বন্ধন ছিন্ন করে প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সামিল হয়েছে। এই নাটকে রবীন্দ্রনাথ নারীকে কল্পনার আসনে বসিয়ে কেবল মানব মুক্তির ভবিষ্যতই দেখাননি, ভবিষ্যৎ মানব সমাজেরও এক আনন্দোজ্জ্বল ছবি অঙ্কিত করেছেন-_-আর তার অগ্রপথিক যে নারী সেটাও আমাদের অনুভবের সীমার মধ্যে এনে দিয়েছেন। “রক্তকরবী'র নন্দিনীর অভিযান যেন বাস্তব মাটির স্পর্শে রূপলাভ করল 'কালের UA (১৯৩২) নাটিকায়। তৎকালে গোটা দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাত-পাতের দ্বন্দ্ব, শ্রেণি বিভক্ত সমাজের ঈর্যাপ্রণোদিত অস্থিরতা প্রভৃতি আনুষঙ্গিক ঘটনাবলিতে ছিল উত্তাল। কবির কাম্য সমাজের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন সকলের সমান অধিকার, অর্থাৎ সকলের যথোচিত সম্মান। “রথের রশি” নাটিকার মধ্য দিয়ে অচল রথ অবশেষে শূদ্রদের দড়ি টানার ফলে রথের চাকা এগিয়ে চলে। সমাজের অবহেলিত মানুষদের স্বীকৃতি এবং তাদের (১৬)



Leave a Comment