মরিচঝাঁপি | Marichjhanpi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সাধারণ সম্পাদক রাইহরণ বাড়ে অবরোধ জারির পর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ পর্যন্ত অনাহারে মৃত, অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে ও বিনা চিকিৎসায় মৃত, ধর্ষিত, ৩১ জানুয়ারি ১৯৭৯ থেকে নিখৌজ ও নিহত, আলিপুর ও বসিরহাট এবং অন্যান্য জেলে বন্দি উদ্বাস্তদের সংখ্যা ও নামের তালিকা, বাজেয়াগু করা নৌকার সংখ্যা ও তাদের মালিকের নাম, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াগু করা সম্পত্তির পরিমাণ ইত্যাদি জানিয়েছেন লিখিতভাবে | সেটি ছাপা হয়েছে জগদীশচন্দ্র মণ্ডলের Mapas}: নৈঃশব্দ্যের অন্তরালে” বইটিতে | এই তালিকা যদি সত্য হয়, ভাবা যায় না পুলিশি fae কোন পর্যায়ে পোৌঁছেছিল। তালিকার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। হয়তো এর বিরুদ্ধে বলারও আছে। কিন্তু ১৯৭৯-র ২৩ বছর পর আবার আর এক রকম অবরোধ! ২০০২-এ বইটির আলোচনা বেরোয় পাবলিশার্স আ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের ত্রৈমাসিক মুখপত্র “পুস্তকমেলা'য় (AS বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ-আযাঢ় ১৪০৯)। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলা হয় পত্রিকার প্রায় সব কপি। অঘোষিত কারণে ওই আলোচনা বাদ দিয়ে তার জায়গায় অন্য লেখা ছেপে পত্রিকা বের করা হয়। কেন এই সেন্সর? নৈঃশব্দ্যের ষড়যন্ত্র? ইতিহাসকে ছিন্ন রাখার প্রয়াস! “নিষিদ্ধ' আলোচনাটি আমরা এখানে প্রকাশ করলাম। আমরা চেয়েছি এবং চাই, মরিচরঝাপির সত্য জানা যাক, ভালমন্দ যা-ই হোক। কাজটি হয়ে উঠতে পারল যে সহযোগী সহমমীরদের জন্য, তাদের প্রথমে আছেন নাটাব্ক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী। সব সময় পাশে থেকেছেন। 'আনন্দবাজার পত্রিকা”র গ্রন্থাগারিক শক্তিদাস রায় আমাদের দ্রুত এগোতে অনুপ্রাণিত করেছেন। নানা ভাবে সঙ্গে পেয়েছি অজয় বসুরায়, সুনীতা H, মানব চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল মজুমদার, এসইউসিআই নেতা রণজিৎ ধর ও অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, সিপিআইএমএল লিবারেশন- এর বন্ধুদের এবং অধীর বিশ্বাস ও তার আবেগ-অধীরতাকে। প্রতিপদে শরণ নিতে হয়েছে 'আনন্দবাজার পত্রিকা'র! চিরকৃতজ্ঞ থাকব “কম্পাস' পত্রিকা ও ন্যাশনাল লাইব্রেরির এসপ্ল্যানেড ইস্ট শাখার কর্মীদের কাছে। সেদিনের একটা ছবি বিপুল গুহর রূপায়ণে কালের সীমা পেরিয়ে অনেক-কথা-বলতে-চাওয়া প্রচ্ছদ হয়ে উঠেছে। ভুলত্রুটি যা আছে, এককভাবে আমার । নিবদ্ধ ও প্রতিবেদনগুলি বিভিন্ন সময়ের লেখা বলে বানানে কিছু বিশৃঙ্খলা রয়ে গেল। ১৬ 3 মরিচঝাপি: ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস



Leave a Comment